Published : 18 May 2025, 11:27 AM
এমনিতে রেকর্ড-পরিসংখ্যান খুব বেশি মনে থাকে না বেশির ভাগ ক্রিকেটারের। তবে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিটির কথা বাংলাদেশ ক্রিকেটের কারও ভোলার কথা নয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এত বছরের পথচলায় সেটিই যে ছিল সবেধন নীলমণি! দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আরেকটি সেঞ্চুরি এলো যার ব্যাটে, সেই পারভেজ হোসেন ইমন তৃপ্ত ছেলেবেলার নায়কের পাশে নাম লেখাতে পেরে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে শনিবার শারজাহতে ৫৪ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেন পারভেজ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রায় ১৯ বছরের পথচলায় বাংলাদেশের স্রেফ দ্বিতীয় শতরান এটি।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন তামিম। এতদিন ধরে নিঃসঙ্গ থাকা ওপেনার একজন সঙ্গী পেলেন তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার পর।
ক্রিজে থাকার সময় আসলে বাইরের কিছু ভাবা কঠিন। বিসিবির ভিডিও বার্তায় পারভেজ জানালেন, মাঠ থেকে বেরিয়ে এসেই প্রথম সেঞ্চুরিয়ানের কথা মনে উঁকি দিয়েছে তার।
“ভালো লাগছে, সেঞ্চুরি হয়েছে আমার। ড্রেসিং রুমে আসার পর আমার মনে পড়েছে, তামিম ভাইয়ের ছিল প্রথম সেঞ্চুরি। আমারটা দ্বিতীয় হলো। সব মিলিয়ে ভালো লাগছে।”
তানজিদ হাসান বা পারভেজসহ তাদের সময়ের কিংবা পরের প্রজন্মের অনেক বাঁহাতি ওপেনার কিংবা ব্যাটসম্যানেরই ছেলেবেলার নায়ক তামিম। এমন একজনের পাশে নাম লেখাতে পারাটা বাড়তি ভালো লাগা যোগাচ্ছে ২২ বছর বয়সী ওপেনারকে।
“তামিম ভাইকে ছোট থেকে অনুসরণ করতাম। উনার খেলা দেখতাম, ভালো লাগত। উনার পরে নামটা আমার আসছে। ভালো লাগছে।”
“তামিম ভাইয়ের একশটা মনে আছে, ওমানের সঙ্গে করেছিলেন। উনার সব খেলা দেখি সবসময়। মনে ছিল আমার।”
পারভেজ অবশ্য শুধু তামিমের পাশেই নাম লেখাননি, তাকে ছাড়িয়েও গেছেন। তামিমের সেই শতরান এসেছিল ৬০ বলে, পারভেজের লাগল ৫৩ বল। তরুণ ওপেনার ছক্কা মেরেছেন ৯টি, এক ইনিংসে যা বাংলাদেশের রেকর্ড।
পারভেজ ছাড়া এ দিন বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান ২০ রান ছাড়াতে পারেননি। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো জুটিও হয়নি। একটা পর্যায়ে তো এক প্রান্তে উইকেট পড়েছে নিয়মিত, আরেক প্রান্তে শট খেলে গেছেন পারভেজ। শেষ পর্যন্ত শতরান ছুঁয়ে আউট হয়েছেন শেষ ওভারের প্রথম বলে।
একের পর এক উইকেট হারানোর সময়টায় ক্রিজে তার ভাবনা ছিল, নিজের সহজাত খেলা ধরে রেখেই ইনিংস বড় করতে হবে।
“উইকেট যখন পড়ছিল, তখন চেষ্টা করছিলাম নিজের ইন্টেন্ট না বদলাতে। আমি সবসময় আমার শক্তির (জায়গায় বল পেতে) অপেক্ষা করছিলাম। তবে এটাও মাথায় ছিল যে, খেলাটা (ইনিংস) বড় করতে হবে। এক প্রান্ত থেকে উইকেট পড়ছে, আমাকে এগিয়ে যেতে হবে। আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, টেনে নিতে চেষ্টা করেছি। শেষ পর্যন্ত পেরেছি।”
সিরিজের শেষ ম্যাচ সোমবার।