টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ
Published : 08 Jun 2025, 04:40 PM
দুই বছর আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে না পেরে হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল জশ হেইজেলউডের। এবার সেই আক্ষেপ মেটাতে মুখিয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ান অভিজ্ঞ পেসার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টের মুকুট ধরে রাখার লড়াইয়ে খেলতে আশাবাদী তিনি।
লর্ডসে আগামী বুধবার শুরু হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রের ফাইনাল।
২০২৩ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে পারেননি হেইজেলউড। তখন পেশির চোটে ভুগছিলেন এই পেসার। তার জায়গায় সুযোগ পেয়ে দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচে ৫ উইকেট নেন স্কট বোল্যান্ড। ম্যাচটি ২০৯ রানে জেতে অস্ট্রেলিয়া।
এবারের ফাইনালের দলে বোল্যান্ডের সঙ্গে আছেন হেইজেলউড। একাদশে জায়গা পেতে দুই জনের মধ্যে চলছে দারুণ লড়াই। যা অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচকদের জন্য মধুর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সুযোগ পেতে আশাবাদী ৭২ টেস্টে ২৭৯ উইকেট নেওয়া হেইজেলউড।
বল হাতে দারুণ ছন্দে আছেন হেইজেলউড। গত সপ্তাহে শেষ হওয়া আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রথম শিরোপা জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। আসরে ১২ ম্যাচ খেলে নেন দলের সর্বোচ্চ ২২ উইকেট। সব দল মিলিয়ে তার চেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন কেবল চেন্নাই সুপার কিংসের নুর আহমাদ (২৪) ও গুজরাট টাইটান্সের প্রাসিধ কৃষ্ণা (২৫)।
শুধু টি-টোয়েন্টিতেই নয়, সব সংস্করণেই নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট হেইজেলউড। তার মতে, ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করছেন। তাই নিজেকে ফাইনালের একাদশে জায়গা পাওয়ার দাবিদার মনে করছেন তিনি।
“গত ফাইনালের আগে সেরে ওঠার খুব কাছাকাছি ছিলাম। তবে এবার ভালো অবস্থায় আছি, আমার মনে হয় যে কোনো সংস্করণে গত দুই বছরে আমার পরিসংখ্যান বেশ ভালো। তাই দলে জায়গা পাওয়ার জন্য আমার অনেক রসদ আছে।”
“দক্ষতার দিক থেকে, আমি এখনও মনে করি আমি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করছি এবং এটা শুধু শরীরের মেনে নেওয়ার বিষয়, যা গত কয়েক মাসে ঠিকই আছে।”
হেইজেলউডের বড় সমস্যা চোট। গত গ্রীষ্মে কেবল দুটি টেস্ট খেলতে পেরেছেন তিনি। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির মাঝে পাওয়া চোটে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন তিনি।
গত ডিসেম্বরে ব্রিজবেন টেস্টের পর লাল বলে আর কোনো ম্যাচ খেলেননি হেইজেলউড। স্পিন সহায়ক উইকেটের কথা ভেবে তাকে শ্রীলঙ্কা সফরে নেয়নি অস্ট্রেলিয়া।
আইপিএল দিয়ে আবার পেশাদার ক্রিকেটে ফেরা ডানহাতি এই পেসার টুর্নামেন্ট চলাকালে কিছুদিন ভোগেন কাঁধের সমস্যায়। যার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় চিকিৎসাও নেন তিনি।
এতোদিন ভারতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলা হেইজেলউডকে এখন টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আবার ইংলিশ কন্ডিশন নিয়েও ভাবতে হচ্ছে তাকে। তবে সংস্করণ পরিবর্তনে দুর্ভাবনার কিছু দেখেন না তিনি।
“আইপিএলে, পাওয়ার প্লের সময় পিচের ৭ থেকে ৯ মিটারের মধ্যে সম্ভবত বল ফেলতাম, স্টাম্পে বল খুব একটা করতাম না যেমনটা টেস্ট ক্রিকেটে যতটা সম্ভব করা যায়, বিশেষ করে ইংল্যান্ডে।”