Published : 02 Sep 2024, 07:39 PM
দারুণ ইনিংসে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিলেন নিগার সুলতানা। বল হাতে বাকি কাজ সারলেন স্বর্ণা আক্তার, মুমতা হেনা হাসনাতরা। রাজশাহী বিভাগকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপ জিতল ময়মনসিংহ বিভাগ।
রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের মেয়েদের জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডে ৪৮ রানে জিতেছে ময়মনসিংহ। সোমবার দুপুরের ম্যাচে ১৩৩ রানের লক্ষ্যে ৮৪ রানে অলআউট হয়েছে রাজশাহী।
৭ ম্যাচে ৫ জয়ের সঙ্গে দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ১২ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় ময়মনসিংহ। লিগের ১৩ আসরে এটিই তাদের প্রথম শিরোপা।
একই দিন সকালে রংপুরের বিপক্ষে জয় পায় চট্টগ্রাম, তাতে রাজশাহীর বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি অলিখিত ফাইনাল হয়ে যায় ময়মনসিংহের জন্য। ব্যাটে-বলে দাপুটে পারফরম্যান্সেই সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে নিগারের দল।
ময়মনসিংহের সমান ৫ ম্যাচ জিতেছে চট্টগ্রামও। তবে বাকি দুই ম্যাচের একটি পরিত্যক্ত এবং অন্যটিতে হেরে যাওয়ায় ১১ পয়েন্ট নিয়ে রানার্স-আপ হয়েছে তারা।
টুর্নামেন্টজুড়ে পারফর্ম করেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নিগার। শেষ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৪ বলে ৮০ রানের ইনিংস। সব মিলিয়ে ৫ ইনিংসে ৬৩.২৫ গড়ে নিগারের সংগ্রহ ২৫৩ রান।
তবে ব্যাট হাতে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন চট্টগ্রামের সাথি রানি বর্মণ। ষষ্ঠ রাউন্ডে ৫১ বলে ৯২ রানের পর শেষ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৬টি করে চার-ছক্কায় ৪৭ বলে ৮৪ রানের ইনিংস। দুই ম্যাচেই অপরাজিত থাকেন তিনি।
সব মিলিয়ে ৬ ইনিংসে ২টি ফিফটিসহ ৭১ গড় ও ১৫১.৬০ স্ট্রাইক রেটে আসরের সর্বোচ্চ ২৮৪ রান করেন সাথি। লিগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটিও তার। এছাড়া টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ২৪টি চার ও ১৯টি ছক্কা মারেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
সাথি ও নিগার ছাড়া লিগে আর কেউ ২০০ রান করতে পারেননি। অভিজ্ঞ ব্যাটার ফারজানা হক ৫ ইনিংসে করেন ১৯০ রান। তরুণ ওপেনার দিলারা আক্তার ৬ ইনিংসে ১৪৬.৭১ স্ট্রাইক রেটে নেন ১৪৫ রান।
বল হাতে উজ্জ্বল নিগারের সতীর্থ স্বর্ণা আক্তার। শেষ ম্যাচে ১৩ রানে ৩টিসহ ৫ ইনিংসে তার শিকার ১৪ উইকেট। টুর্নামেন্টে ওভারপ্রতি তার খরচ মাত্র ৪.১০ রান। স্বর্ণা ছাড়া আর কেউ ১০ উইকেট নিতে পারেননি। ময়মনসিংহেরই ফুয়ারা বেগমের শিকার ৯ উইকেট।
শিরোপা নির্ধারণী শেষ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় ময়মনসিংহ। নিগার ছাড়া আর কেউই সুবিধা করতে পারেননি। দ্বিতীয় ওভারে ক্রিজে গিয়ে ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হন অধিনায়ক। তার ৮০ রানের সৌজন্যে ৬ উইকেটে ১৩২ রান করে ময়মনসিংহ।
রান তাড়ায় শুরুতেই মুমতা হেনার তোপে পড়ে রাজশাহী। পাওয়ার প্লের মধ্যে ৩ উইকেট নেন মুমতা হেনা। পঞ্চম উইকেটে ৪৮ রান যোগ করেন মিষ্টি রানি ও ফাল্গুনি বন্যা। পরে ধস নামান স্বর্ণা।
১৮ রানের ব্যবধানে শেষ ৬ উইকেট হারায় রাজশাহী। ৩৩ বলে দলের সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন মিষ্টি। ৩টি করে উইকেট নেন মুমতা হেনা ও স্বর্ণা। ফুয়ারা ও রুপা আবেদিন পান ২টি করে উইকেট।
ম্যাচ শেষে জয়ী দলকে ট্রফি তুলে দেওয়ার আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দুই পরিচালক খালেদ মাহমুদ, নাজমুল আবেদিন ও বোর্ডে নারী ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান হাবিবুল বাশার।