Published : 19 Oct 2022, 02:15 PM
নবম ওভারে যখন ক্রিজে গেলেন কার্টিস ক্যাম্পার তখন ধুঁকছে আয়ারল্যান্ড। পরের ওভারে হ্যারি টেক্টরের বিদায়ে বিপদ বাড়ে আরও। ম্যাচ অনেকটাই স্কটল্যান্ডের মুঠোয়। সেখান থেকে খুনে ব্যাটিংয়ে ব্যবধান গড়ে দিলেন ক্যাম্পার। রেকর্ড গড়া ইনিংসে দলকে এনে দিলেন অসাধারণ এক জয়।
হোবার্টে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে বুধবার ৬ উইকেটে জিতেছে আয়ারল্যান্ড। স্কটল্যান্ডের ১৭৬ রান পেরিয়ে গেছে ৬ বল বাকি থাকতে।
ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে দুই ছক্কা ও সাত চারে ৩২ বলে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস খেলেন ক্যাম্পার। বোলিংয়ে নিয়েছিলেন ৯ রানে ২ উইকেট। তবে মূলত বিস্ফোরক এই ব্যাটিংয়েই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
টি-টোয়েন্টিতে এ নিয়ে তৃতীয়বার ম্যাচ সেরা হলেন ক্যাম্পার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার। গত আসরে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে জেতেন প্রথমবার।
ইতিহাসের একমাত্র বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডাবল হ্যাটট্রিক করা ক্যাম্পারকে দিয়ে মাত্র ২ ওভার বোলিং করান আইরিশ অধিনায়ক। এর মধ্যেই নিজের ছাপ রাখেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
ম্যাথু ক্রস ও রিচি বেরিংটনকে বিদায় করে ভাঙেন দুটি পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ক্যাম্পার চালান তাণ্ডব। তার পাল্টা আক্রমণে বল ফেলার যেন জায়গা পাচ্ছিলেন না স্কটিশ বোলাররা।
প্রথম ৯.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৬১ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। জর্জ ডকরেলের সঙ্গে ক্যাম্পারের জুটিতে ৯.৩ ওভারে আসে ১১৯ রান!
এই জুটি গড়ার পথেই বিশ্বকাপে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন ক্যাম্পার। আগের সেরা ছিল পল স্টার্লিংয়ের ৬০। ২০১৪ সালে সিলেটে এই ইনিংস খেলেছিলেন ওপেনার স্টার্লিং।
এই ম্যাচের আগে টি-টোয়েন্টিতে ক্যাম্পারের রেকর্ড এমনিতে খুব সমৃদ্ধ কিছু একটা ছিল না। ২২ ম্যাচে ১৮.২৫ গড়ে ২৯২ রান। সর্বোচ্চ ৪০, স্ট্রাইক রেট মোটে ১১৪.৫০। সেই তিনি ২২৫ স্ট্রাইক রেটে রান করে টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রাখলেন আয়ারল্যান্ডকে।