Published : 16 Oct 2024, 08:33 PM
সারাদেশে ৫ অগাস্ট পরবর্তী সময়ে সাধারণ লোকজন যেখানে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কথা বলছে, তখন চট্টগ্রাম শহরে পুলিশ পুরোদমে কাজ করছে বলে দাবি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
বুধবার বিকালে সিএমপি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ তাদের বিভিন্ন কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, গত ৫ অগাস্ট থানায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় কোতোয়ালী ও হালিশহর থানা পুলিশ চার জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন মামলায় মোট ৪৯৪ জনকে গ্রেপ্তার ও সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া পাহাড়তলী থানায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালেও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার, বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার, ভিকটিম উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারেক আজিজ বলেন, নগরীতে সবার আগে কাজ শুরু করেছে ট্রাফিক বিভাগ। গত এক মাসে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে দুই হাজার ৮৭৯টি মামলা এবং ৮৯ লাখ ৮০ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এছাড়া এক হাজার ৮৯৪টি ব্যাটারিচালিত রিকশা, ৭৩০টি অবৈধ অটোরিকশা এবং অন্যান্য এক হাজার ৭৯৮টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটক করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সরকার পতনের পরপরই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার থানা আক্রান্ত হয়। চলে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট। এর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় লুটপাট হয়েছে। বেশ কয়েকটি থানা পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে।
এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন অনেক পুলিশ সদস্য। এসব হামলায় নথিপত্র, আসবাবপত্রের পাশাপাশি পুড়ে গেছে থানায় থাকা সব গাড়ি। লুট হয়ে গেছে অনেক অস্ত্র ও গুলি। এরপর থেকে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় দেশের পুলিশি ব্যবস্থা।
নিরাপত্তাহীনতা ও সহকর্মীদের হতাহত হওয়ার ক্ষোভ থেকে ৫ অগাস্টের পর কাজে থেকে বিরত ছিলেন পুলিশের নন ক্যাডার সদস্যরা। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়েও গেছেন। ফলে ঢাকার রাস্তাঘাট এবং থানাগুলো কার্যত পুলিশশূন্য হয়ে পড়ে।
এরপর পুলিশকে বিভিন্নভাবে সক্রিয় করে দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হচ্ছিল। কিন্তু বিভিন্নভাবে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কথা উঠছিল।