Published : 11 Dec 2024, 03:47 PM
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে ৭৮ নাবিকসহ মাছ ধরার দুটি নৌযানকে ভারতের উড়িষ্যার প্যারাদ্বীপ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে দুই নৌযানের নাবিকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মালিকপক্ষের কথাও হয়েছে। এছাড়া ভারতের কোস্টগার্ড ফেইসবুকে আটক নাবিকসহ নৌযান দুটির ছবিও পোস্ট করেছে।
আটক জাহাজ এফভি মেঘনা-৫ এর মালিক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রোর নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাছ ধরার নৌযান দুটি ভারতের উড়িষ্যা এলাকার প্যারাদ্বীপ নামক স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
“সকালে আমাদের ফিশিং ভ্যাসেলের নাবিকদের সাথে স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে কথা হয়েছে। তাদের ওই এলাকার তীরে নামানো হবে বলে জানিয়েছে।“
খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার ভারতের জলসীমার কাছ থেকে সোমবার দুপুরে ফভি মেঘনা-৫ ও এফভি লায়লা-২ জাহাজ দুটি নাবিকসহ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এফভি মেঘনা-৫ এর মালিক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড। এফভি লায়লা-২ এর মালিক প্রতিষ্ঠান এস আর ফিশিং।
এফভি মেঘনা-৫ ও এফভি লায়লা-২ খূলনা বেল্টের হিরণ পয়েন্ট এলাকায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার কাজে ছিল। জেলে ও ক্রু মিলিয়ে মেঘনাতে ৩৭ জন এবং লায়লাতে ৪১ জন ছিল। মঙ্গলবার লায়লা-২ এ ৪২ জন নাবিক থাকার কথা বলা হলেও ওই ফিশিং ভ্যাসেল রওনা দেয়ার সময় একজন অসুস্থতার কারণে যেতে পারেননি।
নৌ যানদুটি ভারতের কোস্টগার্ডের হাতে আটক হওয়ার পর মালিকপক্ষ সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে অবহিত করেছে।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোস্টগার্ডসহ সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ওই দেশের সাথে যোগাযোগ করছে। আমরা বিষয়টি নজরে রেখেছি।“
এদিকে ভারতের কোস্টগার্ডের ফেইসবুকে ছবি পোস্ট করে লিখেছে, আটক নাবিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্যারাদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।