হেফাজতে ‘নির্যাতন’: পাঁচলাইশের সাবেক ওসির বিরুদ্ধে মামলা পুনঃতদন্তের আদেশ

চট্টগ্রামে কিডনি ডায়ালাইসিস ফি বাড়ানোর প্রতিবাদকারী এক যুবককে আটক করে নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচলাইশ থানার সাবেক ওসিসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা মামলাটি নতুন করে তদন্তের আদেশ দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম সরকার হাসান শাহরিয়ার মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পাঁচলাইশ থানার ওসি মো. নাজিম উদ্দিন ও এসআই আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে করা মামলাটিতে সিআইডি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল। আমরা সেই প্রতিবেদনের বিষয়ে নারাজি দিয়েছিলাম।

“ওই নারাজি আবেদন বিষয়ে আজ শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।”

পিবিআই এর এসপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে মামলাটির তদন্তভার দিতে বলেছে আদালত।

গত বছরের ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের বাইরে কিডনি ডায়ালাইসিস ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালে পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে কিছু পুলিশ সদস্য আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হন।

নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচলাইশ থানার ওসিসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা

ওই ঘটনায় গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই মামলা করেন সৈয়দ মোহাম্মদ মুনতাকিম ওরফে মোস্তাকিম (২৩)। তার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে।

পাঁচলাইশ থানার তখনকার ওসি মো. নাজিম উদ্দিন ও এসআই আবদুল আজিজকে আসামি করে ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলাটি করা হয়।

মামলার বিবরণে বলা হয়, সাত বছর ধরে মোস্তাকিমের মা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করিয়ে আসছিলেন। জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে ডায়ালিসিস ফি বাড়ানো হলে আন্দোলনে নামেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।

সে সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় এবং মোস্তাকিমকে টেনে হিঁচড়ে মেডিকেলের মেইন গেইটের সামনে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। পরে তাকে থানায় নিয়েও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়।

অভিযোগের ‘প্রমাণ না পাওয়ার’ কথা জানিয়ে সিআইডি এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল। ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে গত বছরের শেষ দিকে নারাজি আবেদন করেছিল বাদীপক্ষ।