Published : 23 Aug 2024, 09:56 PM
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অংশগ্রহণের বিরোধিতায় চট্টগ্রামে হেফাজত ইসলামের বিক্ষোভে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার সাড়ে তিন বছর পর মামলা হয়েছে।
নিহতের বাবা শুক্রবার হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করা হয় বলে এ থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন।
মামলায় তরীকত ফেডারেশনের সভাপতি ও ফটিকছড়ির সাবেক এমপি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হকসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের সাবেক দুই নেতা ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদেরও আসামি তালিকায় রাখা হয়েছে।
২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু তার সফরের বিরোধীতা করে সেদিন হাটহাজারীতে বিক্ষোভ-মিছিল করে হেফাজত ইসলাম।
সেসময় থানাসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে চারজন নিহত হন। তারা সবাই হেফাজতের কর্মী ছিল বলে কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনটি দাবি ছিল।
নিহতদের একজন ছিলেন হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা নামে পরিচিত দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামের দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষার্থী রবিউল ইসলাম। ঘটনার দীর্ঘদিন পর শুক্রবার তার বাবা আব্দুল জব্বার মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় ১ থেকে ১১ নম্বর আসামি করা হয়েছে হাটহাজারী থানার তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলাম, এসপি এসএম রশিদুল হক, হাটাহাজারী সার্কেলের তৎকালীন এএসপি শাহাদাৎ হোসেন, ডিএসবির এএসপি আব্দুল্লাহ আল মাসুম, ওসি (ডিবি) কেশব চক্রবর্ত্তী, ওসি (ইন্টিলিজেন্স) আমীর হোসাইন, পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব শর্মা, পরিদর্শক (অপারেশন্স) শফিকুল ইসলাম, এস আই মুকিব হাসান, কবির হোসেন ও জসিম উদ্দিন দেওয়ানকে।
১২ নম্বরে আসামি করা হয়েছে ফটিকছড়ির সাবেক সদস্য ও তরীকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস গণি চৌধুরী, হাটহাজারী উপজেলার তৎকালীন চেয়ারম্যান রাশেদুল আলম, ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নাজিমুদ্দীন মুহুরি।
সেইসঙ্গে হেফাজত ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মইনুদ্দীন রুহী ও মাওলানা সলিম উল্লাহকেও আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, “নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ২০২১ সালে ২৬ মার্চ ঢাকার বায়তুল মোকারম মসজিদ থেকে মিছিল বের হয়। ‘তৎকালীন সরকারের অস্ত্রধারীরা’ ওই মিছিলে হামলা চালিয়ে অনেককে হতাহত করে।
“এর প্রতিবাদে হাটহাজারীতেও জুমার পর মিছিল বের হলে বন্ধুদের নিয়ে অংশ নিয়েছিল রবিউল। পরে পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়। ঘটনার পর থানায় চেষ্টা করলেও জিডি ও মামলা নেওয়া হয়নি। কোনো সহায়তা না করে উল্টো ভয়ভীতি দেখানো হয়।”
পুরনো খবর-