Published : 16 Jun 2025, 07:20 PM
জলাবদ্ধতা কমাতে আগ্রাবাদে মূল সড়কের নিচে থাকা প্রায় তিন কিলোমিটারের বক্স কালভার্ট পরিষ্কারে হাত দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ার কথা বলছে সিটি করপোরেশন।
সোমবার দুপুরে প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কালভার্টটি নির্মাণ করে।
“এটা তারা করেছিল অপরিকল্পিতভাবে। সেটা খুলে পরিষ্কার করার মত সুযোগ রাখা হয়নি। ফলে প্রায় ২৭ বছর পরে এসে আমরা এটি পরিষ্কারে হাত দিয়েছি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দুই কোটি ৬০ লাখ টাকার এই প্রকল্পে নৌবাহিনী কাজ করছে।”
তিনি বলেন, “সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম আমাদের মূল লক্ষ্য। ইতোমধ্যে লক্ষ্য করেছেন, কিছু দিন আগে ১৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পরও যেসব এলাকায় আগে জলাবদ্ধতা হত, সেখানে এবার হয়নি।
“এই আগ্রাবাদ একটি বাণিজ্যিক এলাকা। এখানে আগে অনেক জলাবদ্ধতা হত। ফলে বক্স কালভার্টটি আমরা পরিষ্কার করছি। ইতোমধ্যে ১৭টি স্ল্যাবের মধ্যে ৭টি খুলে পরিষ্কার করা হয়েছে। ১৭ মে থেকে কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ করতে আরো ১৫-২০ দিন লাগবে।”
কাজটি ঝুঁকিপূর্ণ মন্তব্য করে মেয়র বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রস্তুত আছেন, যেকোনো মুহূর্তে কেউ ঢুকে যদি তলিয়ে যায়, সেজন্য। একটু আগে দেখেছেন, জোয়ার চলে এসেছে। জোয়ারের কারণে সার্বক্ষণিক কাজ করা যায় না। বিষাক্ত গ্যাসও আছে।
“সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করে যাচ্ছি। নৌবাহিনীকে ধন্যবাদ আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই প্রকল্পে কাজ করায়।”
২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কালভার্টটি নগরীর দেওয়ানহাটের ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে শুরু হয়েছে। বারিক বিল্ডিং মোড় হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সীমানার ভেতর দিয়ে এটি মিশেছে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে।
১৯৯৮ সালে বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নগরীর কয়েকটি খাল সংস্কারের পাশাপাশি এ কালভার্ট নির্মাণ করা হয়।
নগরীর দেওয়ানহাট, চৌমুহনী, আগ্রাবাদ, পাঠানটুলী, গোসাইলডাঙ্গা ও বারিক বিল্ডিং এলাকার পানি এই কালভার্ট হয়ে কর্ণফুলীতে নদীতে গিয়ে পড়ে। নদীর সঙ্গে সংযোগ থাকায় কালভার্টটিতে জোয়ারের সময় নদী থেকে পানিও ঢুকে পড়ে।
দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় এটি আবর্জনা ও পলি জমে প্রায় ভরাট হয়ে গিয়েছিল।
এর আগে সাবেক মেয়র মনজুর আলমের মেয়াদে একবার বক্স কালভার্টটি পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়া হলেও কাজ হয় আংশিক।
গত ১৩ মে চট্টগ্রাম সফরকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এটি পরিষ্কার করার নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী আগের মেয়র ও সিডিএ চেয়ারম্যানরা