Published : 06 Jun 2025, 11:20 AM
কালুরঘাট সেতুতে কক্সবাজার থেকে আসা পর্যটক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় কয়েকজন হতাহতের ঘটনায় আন্তঃনগর ট্রেনটির চালকসহ চারজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনা তদন্তে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে।
পূর্ব রেলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) মো. কামরুজ্জামান শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুর্ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।”
বরখাস্ত চারজন হলেন পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের দায়িত্ব পালনকারী গার্ড সোহেল রানা, লোকো মাস্টার গোলাম রসুল, সহকারী লোকো মাস্টার আমিন উল্লাহ এবং অস্থায়ী গেট কিপার মাহবুব।
কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে জানতে চাইলে কামরুজ্জামান বলেন, “কারো গাফিলতি ছিল কি না তা কমিটি তদন্ত করে দেখবে।”
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী আন্তঃনগর পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি কালুরঘাট সেতুর বোয়ালখালী অংশ দিয়ে প্রবেশের সময় সেতুতে দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশা ও প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়।
এ ঘটনায় একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হয়।
পূর্ব রেলের ডিটিও আনিসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাত সোয়া ৩টার দিকে পর্যটক এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ে কমলাপুরে পৌঁছাতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
পূর্ব রেলের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি সংকেত না মেনে সেতুতে উঠে যায় বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে। আর অন্য কোন বিষয় আছে কি না সেটি তদন্তে বেরিয়ে আসবে।”
তিনি বলেন, “রেল ও সড়ক উভয় সেতু হওয়ায় কালুরঘাট ব্রিজে যে কোনো ট্রেন ওঠার সময় কিছুটা ধীরগতিতে যায়। কিন্তু পর্যটক এক্সপ্রেস দ্রুত সেতুতে উঠে পড়ে বলে শুনেছি।”
শুক্রবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পর্যটক এক্সপ্রেস কালুরঘাট সেতু পার হওয়ার সময় সিগন্যাল না মেনে কয়েকটি যানবাহন সেতুতে উঠে পড়ে।
এ দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তার (চট্টগ্রাম) নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
পুরনো খবর