Published : 19 Nov 2024, 08:43 PM
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ৫ অগাস্ট পরবর্তী সময়ের চেয়ে ‘অনেকটা উন্নতি’ হলেও জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগর পুলিশ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জামিন পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নজরদারিতে রাখার নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আদালত থেকে রায় পেয়ে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিন পেয়েছে। এসব অপরাধী পুনরায় অপরাধে লিপ্ত হলে সাথে সাথে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে।
“৫ অগাস্টের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তবে হয়তো সেটা জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী খুব সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি।”
পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের মাধ্যমে বিভিন্ন সাইবার অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে সে ব্যাপারে সজাগ ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দেন।
তিনি এসময় পুলিশকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন ও প্রোটকল ডিউটি কমিয়ে আনার নির্দেশ দেন।
এসময় তিনি পুলিশের প্রটোকল ডিউটি কমিয়ে আনারও নির্দেশনা দেন।
এ মতবিনিময় সভায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, “থানাকে জনগণের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে হবে। থানায় সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে যেকোনো সমস্যায় থানায় যেতে পারে ও উপযুক্ত সেবা পায়।”
জনবান্ধব পুলিশ গড়ে তুলতে থানার কার্যক্রম আরো সক্রিয় ও যুগোপযোগী করারও কথা বলেন তিনি।
নগরীর যানজট নিরসনে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে জোরদার করার তাগিদ দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে ডিএমপি এলাকায় ৭০০ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য যারা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের মধ্যে আগ্রহীদের বয়সসীমা বেঁধে দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা চলছে বলেও জানান উপদেষ্টা।
এদিকে প্রতিটি মহানগরীর যানজট নিরসনে সভা সমাবেশের জন্য মুক্তাঙ্গনগুলো নির্দিষ্ট করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে সভা-সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য মহানগরীর জন্য মুক্তাঙ্গন ঠিক করে দিতে হবে যাতে যানজট হ্রাস পায়।”
মেট্রোপলিটন এলাকায় অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ করা যাবে না বলেও জানান তিনি।
সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম, র্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহীদুর রহমানসহ বিভিন্ন বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।