Published : 03 Sep 2024, 12:37 AM
ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরীকে বেসরকারি ওয়ান ব্যাংক পিএলসির পরিচালক পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার চট্টগ্রামের অর্থ ঋণ আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা জজ মুজাহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
ঋণ দাতা সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষে সোমবার করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয় আদালত।
পাশাপাশি ওয়ান ব্যাংকে থাকা সাঈদ হোসেনের শেয়ার জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত বলে জানান সাউথ ইস্ট ব্যাংকের আইনজীবী মো. মঈন উদ্দিন কাদের।
সাঈদ হোসেন বর্তমানে ওয়ান ব্যাংকের পরিচালক। তিনি এ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান। এ ব্যাংকে সাঈদ হোসেনের চার কোটি আট লাখ ছয় হাজার ৮৫টি শেয়ার আছে। এইচআরসি গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এইচআরসি সিন্ডিকেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও তিনি।
এইচআরসি সিন্ডিকেটের নামে সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে থেকে নেওয়া ঋণ খেলাপি হয়ে যাওয়ায় ২০২২ সালে চট্টগ্রামের অর্থ ঋণ আদালতে মামলা করেছিল ব্যাংকটি।
মামলার বাদী সাউথইস্ট ব্যাংকের আইনজীবী মো. মঈন উদ্দিন কাদের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অর্থ ঋণ আদালতে করা আগের ওই মামলার অধীনে ওয়ান ব্যাংক পিএলসিতে থাকা ওইসব শেয়ার মামলাটির রায়ের পূর্বে অগ্রিম ক্রোকের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করি। পাশাপাশি কেউ ঋণখেলাপি হলে, আইন অনুসারে তিনি কোনো ব্যাংকের পরিচালক পদে থাকতে পারেন না। সেটিও উল্লেখ করে, আবেদনে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
“আদালত এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। ঋণখেলাপি হওয়ায় সাঈদ হোসেন চৌধুরীকে বেসরকারি ওয়ান ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরস থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন আদালত। পাশাপাশি ওয়ান ব্যাংকে থাকা তার শেয়ার ক্রোকেরও আদেশ দিয়েছেন।”
তিনি বলেন, এসব শেয়ার যাতে বিক্রি করা না হয় সেজন্য- ওয়ান ব্যাংক, সেন্ট্রাল ডিপোজিটারি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ এবং বিও হিসাব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে জব্দের আদেশ জারি করা হবে।
সোমবার করা আবেদন এবং অর্থ ঋণ আদালতে ২০২২ সালে দায়ের করা মামলার নথি থেকে জানা যায়, এইচআরসি সিন্ডিকেটের নামে নেওয়া ঋণ খেলাপি হওয়ায় সাউথইস্টের পাওনা ছিল ১২ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার ৯২৪ টাকা।
২০২৪ সালের ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সুদ ও অন্যান্য খরচসহ ওই পাওনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৮১৫ টাকা।
আবেদনে বলা হয়, “ব্যাংকের কাছে পাওনা টাকার বিপরীতে কোনো স্থাবর সম্পত্তি জামানত নেই। তাই ঋণ আদায়ের জন্য সম্পত্তি ক্রোক ও নিলামে বিক্রি করার ব্যবস্থা ব্যতীত অন্য কোন বিকল্প নেই।”
মামলায় এইচআরসি সিন্ডিকেটের পাশাপাশি কোম্পানির চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন এবং কোম্পানির পরিচালক ও সাঈদ হোসেনের স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীকে বিবাদী করা হয়।