Published : 28 Jan 2025, 10:33 AM
রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সারাদেশের মতো চট্টগ্রাম থেকেও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তাতে ভোগান্তিতে পড়া যাত্রীরা রেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, কোনো ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে সোমবার রাত ১২টার আগে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো গন্তব্যে ফিরেছে।
ট্রেন না চলার বিষয়ে আগাম কোনো ঘোষণা না থাকায় সকাল থেকেই যাত্রীরা স্টেশনে এসে বিপাকে পড়েছেন। প্ল্যাটফর্ম ফাঁকা থাকলেও টিকেট কাউন্টারে দেখা গেছে টাকা ফেরত নিতে যাত্রীদের ভিড়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ডিটিও আনিসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। যাত্রীদের টিকেটের টাকা কাউন্টার থেকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি জানান, সকাল থেকে ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সিলেটমুখী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, ঢাকামুখী কক্সবাজার এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়মুখী শাটল ট্রেন, নাজিরহাটের পথের লোকাল ট্রেনও চলেনি।
সকালে স্টেশনে গিয়ে বিপাকে পড়েন সুবর্ণ এক্সপ্রেসের যাত্রী আরিফ হোসেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “রানিং স্টাফদের কর্মসূচির বিষয়টি তো আগে থেকেই ঘোষণা ছিল। তারপরও রেল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শেষ মুহূর্তে তারা যাত্রা বাতিল করেছে। তাদের কারণে যাত্রীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।”
মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক দেওয়া, নিয়োগপত্রের দুই শর্ত প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে অনির্দিষ্টকালের এই কর্মবিরতি শুরু করেছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। সোমবার মধ্যরাত থেকে তাদের কর্মবিরতি শুরু হয়।
রেলওয়ের রানিং স্টাফ বলতে ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, গার্ড ও টিকিট পরিদর্শকদের (টিটি) বোঝানো হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের দাবি অনেক পুরনো, আগেও আমরা একই দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছিলাম। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।”