Published : 21 May 2025, 05:39 PM
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) পরিচালিত স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হল ‘স্টুডেন্টস হেলথ কার্ড’।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বুধবার দুপুরে নগরীর কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
প্রাথমিকভাবে সিটি করপোরেশনের পাঁচটি বিদ্যালয় এই কার্যক্রমের আওতায় থাকছে।
স্কুলগুলো হল- পাথরঘাটা সিটি করপোরেশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, গুল এজার বেগম সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়, ইমারাতুন্নেসা কিন্ডারগার্টেন, পাঁচলাইশ কিন্ডারগার্টেন এবং কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়।
দেশে প্রথমবারের মত চট্টগ্রামে এই ‘স্টুডেন্টস হেলথ কার্ড’ চালুর কথা জানিয়ে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “এ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে সিটি করপোরেশনের অন্য স্কুলগুলোতেও স্বাস্থ্য কার্ড চালু করা হবে।
“শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষা শুধু অভিভাবকদের নয়, বরং প্রতিষ্ঠান ও সিটি করপোরেশনেরও দায়িত্ব। এই হেলথ কার্ডের মাধ্যমে শিশুদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকাদান এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে তোলা সম্ভব হবে।”
পেশায় চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন জানান, প্রধান উপদেষ্টাকেও এই প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে এবং তিনি এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়মিত মূল্যায়নের পাশাপাশি হেলথ কার্ডের মাধ্যমে আগাম রোগ শনাক্তকরণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির সুযোগ থাকবে বলে মেয়র আশা প্রকাশ করেন।
শাহাদাত হোসেন বলেন, “এই উদ্যোগ শুধু চট্টগ্রামেই নয়, দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও একটি রোল মডেল হবে। এ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের শৈশব থেকে দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি চট্টগ্রাম গড়ে তোলা।”
স্টুডেন্টস হেলথ কার্ডে শিক্ষার্থীর পরিচিতিমূলক তথ্য– যেমন নাম, জন্মতারিখ, বিদ্যালয়ের নাম, শ্রেণি, অভিভাবকের নাম ও যোগাযোগ ঠিকানা সংরক্ষণ করা হবে।
৫ থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত মোট ১৪ বার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রেকর্ড সংরক্ষণ করা যাবে এই কার্ডে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ওজন, উচ্চতা, দাঁতের অবস্থা, চোখ-কান, ত্বক-চুলের স্বাস্থ্য, রক্তচাপ এবং হিমোগ্লোবিনের তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
কার্ডের একটি পৃথক অংশে টিকাদান সংক্রান্ত তথ্য থাকবে, যাতে বিসিজি, পোলিও, হেপাটাইটিস-বি, এমআর, পেন্টাভ্যালেন্ট, টায়ফয়েড, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও র্যাবিসসহ গুরুত্বপূর্ণ টিকার রেকর্ড সংরক্ষিত থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। মুখ্য আলোচক ছিলেন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী। আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইলিয়াছ উদ্দিন আহম্মদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সিসিসি প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা কিসিঞ্জার চাকমা।