Published : 29 Nov 2024, 09:18 PM
দেশের মানুষের মাঝে কেউ অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
শুক্রবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ‘জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণভ্যুত্থান এর শহীদ পরিবার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে’ অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার মত বিনিময় সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের সঙ্গে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
হাসান আরিফ বলেন, “একটি সরকার যখন বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে অপসারিত হয়, তারা কিন্তু সহজে ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। এটার প্রমাণ আমরা ইতোমধ্যে দেখতে পাচ্ছি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তারা তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে।
“দলমত নির্বিশেষে সবার মাঝে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো রুটিন সরকার নয়। এটা ছাত্রজনতার মাধ্যমে গঠিত সরকার। দেশের প্রশাসন থেকে শুরু করে সবকিছু চালিয়ে নেওয়ার জন্য ছাত্ররা আমাদের উপর একটি দায়িত্ব দিয়েছেন। এ দায়িত্ব পালনে আমরা বদ্ধপরিকর।”
তিনি বলেন, “দেশের মানুষের মাঝে কেউ অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এই কারণে যে, আইনজীবী শহীদ সাইফুল ইসলামকে হত্যা করে একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। আপনারা আবেগকে ধরে রেখে তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেননি।”
সভায় শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো স্থান নেই। এদেশ অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার ফলে তৈরি হয়েছে। আজকে মানুষ স্বৈরাচারী সরকারকে পতন করে নতুন দেশের সূচনা করেছে। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে যেটা কোনোমতেই হতে দেওয়া যাবে না।
“আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ফ্যাসিবাদের পতন হয়ে গেছে, ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করবেন না, আমরা কঠোর হাতে দমন করব। শহীদ পরিবার ও আহতদের সাথে নিয়ে বাংলাদেশ সংস্কারের কাজ যাতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি এবং সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারি, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, চট্টগ্রামের সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব হামিদুর রহমান খান, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান, অতিরিক্ত ডিআইজি এস এম মোস্তাইন হোসেন, নগর বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ এরশাদুল্লাহসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।