Published : 13 Mar 2025, 02:47 PM
বছর পাঁচেক আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া আমিন জুট মিল পরিচালনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর টাইগারপাসে অস্থায়ী নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন মেয়র শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, “পলিথিন বন্ধের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু জনগণকে তো আমার পলিথিনের বিকল্প দিতে হবে। এর বিকল্প হতে পারে পাটের ব্যাগ। কিন্তু আমাদের আমিন জুট মিল চালু নেই।
“সেখানে দুই হাজারের উপর শ্রমিক ছিল। তাদের কর্মসংস্থান নেই, এখন বেকার। পাশাপাশি আমার পাট জাতীয় কোনো জিনিস বের হচ্ছে না। আমাকে আনতে হবে সেই নারায়ণগঞ্জ কিংবা ঢাকা থেকে। সুতরাং আমার চট্টগ্রামে একটা পাটশিল্প থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।”
মেয়র বলেন, “আমিন জুট মিল যদি থাকত এবং সেই জুট ব্যাগ যদি বের হত, তাহলে কালকেই আমি গিয়ে গিয়ে অভিযান চালিয়ে সমস্ত পলিথিন বের করে ফেলতাম। জনগণকে হাতে দেওয়ার মত তো আমার কিছু নেই।
“কাজেই আমি মনে করি- সরকার যদি উদ্যোগ নেয়, আমরা সিটি করপোরেশন সেটা টেক ওভার করতে পারব। ইতোমধ্যে আমি পাট মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলাম। সচিবের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। উনি সিটি করপোরেশনকে দিতে চান। কিন্তু এত ভাড়া বলেছেন, সেটা ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট ছাড়া নেয়াটা দুরূহ।”
সরকার ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করে শাহাদাত বলেন, “যদি তারা উদ্যোগ নেয় এবং বলে যে ভাড়াটা ৫০ লাখ চাচ্ছে, সিটি করপোরেশনকে এটা দিলাম। তারা ভাড়াটা ১০ লাখ দিবে। আমরা দিতে পারব। আমরা তো পাশাপাশি কিছু কর্মসংস্থানও করছি।
“মেশিনগুলো আছে কিন্তু। যদি আবার শুরু করি সেগুলো রিমডেলিং করতে ১৫-২০ কোটি টাকা লাগবে। আমি নিজে সরেজমিন গিয়েছি। এ ধরনের উদ্যোগ সরকারি পর্যায়ে উৎসাহিত করলে বেশি পরিমাণে আমরা করতে পারব।”
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২০ সালের জুলাই মাসে যে ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হয়, তার মধ্যে চট্টগ্রামের আমিন জুট মিল অন্যতম।
১৯৫৪ সালে স্থাপিত কারখানাটি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের অধীনে আসে। নগরীর ষোলশহরে প্রায় ৮০ একর জমির উপর এই পাটকলটির স্থাপনা ও যন্ত্রপাতি এখন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। ব্যবহার না থাকায় এসব যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি পাটকল শ্রমিকদের।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বন্ধ থাকা পাটকলটি পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র শাহাদাত বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমিন জুট মিল চালুর বিষয়ে আমি আগ্রহী। তবে বেশি ভাড়া হলে আমরা পারব না। কম ভাড়া হলে আমরা নেব। যেহেতু কর্মসংস্থান হবে তাই ভাড়ার বিষয়টি বিবেচনা করে সরকার আমাদের হাতে দায়িত্ব দিতে পারে।
“এটি পেলে আমরা পাটপণ্য সহজে মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে পারব। বিকল্প দিতে পারলে জনগণ অবশ্যই পাট পণ্য ব্যবহার করবে।”