Published : 01 Apr 2025, 11:40 PM
“সৈকতে অনেক মানুষ। এখানে কিছুসময় ছিলাম, এখন রাসমনি ঘাটের দিকে চলে যাব ভাবছি,” ভিড় ঠেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আগে বলছিলেন হাবিবুর রহমান।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঈদের পরদিন মঙ্গলবার তিনি এসেছিলেন নগরীর লালখান বাজার থেকে। শিশু সন্তান, স্ত্রী ও মাকে নিয়ে নিয়ে বেড়াতে আসা এই চাকুরিজীবী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এবার ঈদে লম্বা ছুটি। ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে নিজ এলাকা চট্টগ্রামে চলে এসেছি।
“ঈদের দিন বাসায় অ্যাপায়নের পালা শেষে অনেক স্বজনদের বাসায় বেড়াতে যেতে হয়েছে। আজকে তেমন কিছু নাই। তাই পতেঙ্গা সৈকতে এসেছি।”
তবে সেখানে ভিড় বেশি থাকায় হাবিবুর কিছুটা আগেভাগেই অন্য দিকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের মত আউটার রিং রোডের সমুদ্রের পাশেও অনেককে পরিবার নিয়ে সময় কাটাতে দেখা গেছে।
ঈদের দ্বিতীয় দিন চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে এমনই ভিড় জমেছে দর্শনার্থীদের। সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি পাহাড় ঘেঁষা চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেক ও পাহাড়ের ওপরে সিআরবির মত খোলা চত্বর সকাল থেকেই কোলাহল মুখর হয়ে উঠেছে।
ঈদের দিনের তুলনায় এসব কেন্দ্রে লোক সমাগম ঘটেছে বিপুল। সকাল থেকে পতেঙ্গা সৈকতে দর্শনার্থীদের বিচরণ বাড়তে থাকে। বিকালের পর থেকে সেখানে জনস্রোত শুরু হয়। হাজার হাজার মানুষের এ মিলনমেলায় কেউ মেতে ওঠেন সমুদ্র স্নানে, অনেকে চড়েন স্পিডবোটে, কেউ আবার ঘোড়ার পিঠে।
এ সমুদ্র সৈকত ছাড়াও রাসমনি ঘাট, হালিশহর সমুদ্র সৈকতেও অনেক লোক সমাগম হয়েছে।
বিকালের পর থেকে আউটার রিং রোড হয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বাড়তে থাকে যানবাহনের চাপ। পতেঙ্গা সৈকত ও টানেলের গোল চত্বরজুড়ে সৃষ্টি হয় যানজট। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের এসময় হিমশিম খেতে দেখা যায়।
সৈকতের ভিড় যারা এড়াতে চেয়েছেন তারা গেছেন চিড়িয়াখানায়। এদিন প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রাণী দেখতে এসেছিলেন বলে তথ্য দিয়েছেন চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাত হোসেন শুভ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ঈদের দিন এসেছিলেন ১৪ হাজার ৬০০ জন।
চট্টগ্রামের এ চিড়িয়াখানার পাঁচটি সাদা বাঘসহ ১৮টি বাঘ, সিংহ, জলহস্তিগুলো শিশু কিশোরদের পাশাপাশি বড়দের নজর কেড়েছে।
চিড়িয়াখানার পাশেই ফয়’স লেক এলাকার কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও ওয়াটার ওয়ার্ল্ড। এটিও নগরীর বাসিন্দাদের অন্যতম ভ্রমণ গন্তব্য। গরমে প্রাকৃতিক পরিবেশে লেকে ঘুরে ও পানিতে ঝাঁপিয়ে সময় কাটছে অনেকের।
ডিজে মিউজিকের তালে তালে সি ওর্য়াল্ডের চিলড্রেন, ফ্যামিলিপুল, ওয়েভ পুল ডান্সিং জোন ছিল মুখরিত। পাশাপাশি অনেকেই বেইস ক্যাম্পে প্রবেশ করেছে রোমাঞ্চকর অনুভূতি নিতে।
এদিন সেখানে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি দর্শনার্থী প্রবেশের তথ্য দিলেন পার্কটির পরিচালনাকারী কনকর্ডের উপব্যবস্থাপক (বিপণন) বিশ্বজিৎ ঘোষ। তিনি বলেন, ঈদের দিন দুপুর ২টার পর পার্ক খোলে, লোক সমাগম হয় এক হাজার ৮৫৬ জনের।
চট্টগ্রামে ঈদ বিনোদন: ২ পার্ক বন্ধ, ভিড় বাড়বে পতেঙ্গা আর ফয়'স লেকে