Published : 15 Jun 2023, 11:41 PM
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় রোববার চট্টগ্রাম জেলার প্রায় পৌনে ১৪ লাখ শিশুকে টিকা খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আয়োজিত জেলা পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি সভায় এ বিষয়ে জানানো হয়।
রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলার স্থায়ী, ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় দু’শ ইউনিয়নের ছয়’শ ওয়ার্ড, ১৬টি স্থায়ী কেন্দ্র, ১৫টি ভ্রাম্যমান কেন্দ্র ও চার হাজার আট’শ অস্থায়ী কেন্দ্রে মোট ৮ লাখ ২০ হাজার ৪৮০ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “এরমধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৯৪ হাজার ৯১ জন শিশুকে এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ২৬ হাজার ৩৮৯ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবার।
“জেলার বাইরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে।”
সভায় সিভিল সার্জন জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী মোট ৯১ হাজার ৯১৫ জন শিশুকে (যার অর্জিত হার ৯৮ শতাংশ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ১২ হাজার ৬৪৪ জন শিশুকে (যার অর্জিত হার ৯৯ শতাংশ) ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, “ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে।
“কোন শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো থেকে যাতে বাদ না যায় সে দিকে সবাইকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে।”
এ কর্মসুচি সফল করতে সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, এমওসিএস ডা. মো. নওশাদ খান।