Published : 23 Feb 2024, 08:52 PM
দেশে অবকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সাংস্কৃতিক জাগরণের প্রয়োজন দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, “বইমেলা মঞ্চ আজকে উনাদেরকে সম্মানিত করার মাধ্যমে আমরা সম্মানিত হয়েছি৷ এভাবে গুণীজনদের সম্মাননা না জানালে জাতিতে গুণীজনদের জন্ম হবে না৷
“বাংলাদেশে একটি সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার৷ যে জাগরণের জোয়ারে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ভেসে যাবে৷ আমাদের নতুন প্রজন্ম সত্যিকার অর্থে মানুষ হবে, বাঙালি হবে৷"
শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবির শিরীষতলায় অমর একুশে বইমেলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একুশে সম্মাননা ও সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান বলেন, “আমরা চাই দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষ যাতে জড়বস্তুতে পরিণত না হয়, মনুষ্যত্ব হারিয়ে না যায়, বোধ হারিয়ে না যায়। আমরা মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে চাই৷ সেজন্য সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে৷”
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “সবার সহযোগিতা পেলে সিটি করপোরেশনের অমর একুশে বইমেলাকে আন্তর্জাতিক বইমেলায় পরিণত করতে চাই৷ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রকাশনা ও বিখ্যাত লেখকদের মিলনমেলায় পরিণত করতে আয়োজন করতে চাই চট্টগ্রাম বইমেলার।"
সম্মাননা
নানা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একুশে স্মারক সম্মাননা পদক পেয়েছেন ১০ জন এবং সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ৬ জন৷
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে একুশে স্মারক সম্মাননা পেয়েছেন শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী (মরণোত্তর)। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে নিহত হন। তিনি প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান।
শিল্প উন্নয়ন ও সমাজসেবায় সম্মাননা পেয়েছেন নাছির উদ্দিন (মরণোত্তর)। তিনি রপ্তানিমুখি তৈরি পোশাক খাতের কোম্পানি প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা।
এবার চিকিৎসা খাতে সম্মাননা পেয়েছেন ডা. ফরানুল হক। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন৷
অন্যরা হলেন- নাট্যকলায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বিটা'র নির্বাহী পরিচালক ও নাট্যজন শিশির দত্ত, শিক্ষায় চট্টগ্রাম বিজিএমই ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার ও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্তী, সাংবাদিকতায় জসীম চৌধুরী সবুজ, সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশ ও মানোন্নয়নে দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের সম্পাদক রুশো মাহমুদ, সঙ্গীতে শিল্পী শ্রেয়সী রায়, ক্রীড়ায় জাকির হোসেন লুলু ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে শৈবাল চৌধুরী একুশে স্মারক সম্মাননা পেয়েছেন।
সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন- প্রবন্ধে (গবেষণা) শামসুল আরেফীন ও ড. শামসুদ্দীন শিশির; কবিতায় আবসার হাবীব ও ডা. ভাগ্যধন বড়ুয়া এবং শিশুসাহিত্যে অরুণ শীল ও শিবুকান্তি দাশ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নগর সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, অমর একুশে বইমেলার আহ্বায়ক ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু৷
সম্মাননাপ্রাপ্তদের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ করেন শিশির দত্ত এবং আবসার হাবীব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শহীদুল আলম, নাজমুল হক ডিউক, হাসান মুরাদ বিপ্লব, গোলাম মো. জুবায়ের, শাহেদ ইকবাল বাবু, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, শাহীন আকতার রোজী, বইমেলার সদস্য সচিব আবুল হাশেম।