Published : 10 Aug 2023, 06:25 PM
বন্যাকবলিত দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ লাইন চালু হয়।
তবে যেসব এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি, সেসব এলাকায় ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ সেবা দেওয়া হয়ে থাকে। এর মধ্যে বোয়ালখালী, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, পটিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীনে।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, পটিয়া, বাঁশখালীসহ বিভিন্ন গত কয়েকদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক দীলিপ চন্দ্র চৌধুরী বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বন্যায় বিভিন্ন স্থানে খুঁটি ভেঙে পড়া ও বিদ্যুৎ লাইন ছিঁড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে বেশ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় সাতকানিয়া ছাড়া অন্য উপজেলাগুলোতে বুধবার থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু হয়েছে।
বন্যা: চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় দেড় লাখ ঘর এখন বিদ্যুৎহীন
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাতকানিয়ার বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ উপজেলাটি। সেখানে আস্তে আস্তে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে যেখানে যেখানে পানি আছে, বিদ্যুৎ লাইন চালু থাকলে সমস্যা হবে, সেখানে সংস্কার করে চালু করা হচ্ছে।।”
বন্যার কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় পৌনে দুই লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক সাতকানিয়ার।
দীলিপ চৌধুরী মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, চন্দনাইশ, পটিয়া, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব উপজেলায় অর্ধশতাধিক বৈদ্যুতিক খুঁটে ভেঙে গেছে, ৭৫টি খুঁটি হেলে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে সংযোগ লাইনের উপর গাছ ভেঙে পড়েও তার ছিঁড়ে গেছে।