Published : 30 Jun 2025, 03:01 PM
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার একটি বাজার থেকে পাঁচটি গুইসাপ উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার সৈয়দ বাজার এলাকা থেকে রোববার রাতে গুইসাপগুলো উদ্ধার করেছে বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
এসময় তিনজনকে আটক করা হয় বলে বন বিভাগের পটিয়া রেঞ্জের বরগুনি বিট কর্মকর্তা মো. রহমত আলী জানিয়েছেন।
পরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গুইসাপ শিকারের অভিযোগে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ওই তিন ব্যক্তি হলেন- মং ওয়াই মারমা (৫০), মং হ্লা অং মারমা (৪৮) ও পাই মং থুই মারমা (৪৫)।
উদ্ধারের পর রাতেই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শ্রীমাই সংরক্ষিত বনে গুইসাপগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।
বন বিভাগের পটিয়া রেঞ্জের বরগুনি বিট কর্মকর্তা মো. রহমত আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য ছিল বান্দরবান থেকে কয়েকজন গুইসাপ শিকারের জন্য চন্দনাইশ উপজেলায় এসেছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা চন্দনাইশ উপজেলার বড়মা ইউনিয়েনের সৈয়দ বাজারে যাই।
“সেখানে স্থানীয় পরিবেশবাদীদের উপস্থিতিতে তিনজন ব্যক্তির কাছে ৫টি গুইসাপ পাই।”
বিট কর্মকর্তা রহমত আলী বলেন, “তিন ব্যক্তি মূলত দরিদ্র মানুষ। মূলত খাওয়ার জন্যই বড়মা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে গুইসাপগুলো ধরেছিল বলে জানিয়েছে। বাজারে এনেছিল সেখান থেকে দুয়েকটা বিক্রি করতে।”
উদ্ধার করা গুইসাপ গুলোর মধ্যে দুটি পূর্ণ বয়স্ক এবং বাকি তিনটি আকারে ছোট। এরমধ্যে একটির বয়স মাত্র তিন থেকে চার মাস।
পরে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিপ্লোমেসি চাকমার উপস্থিতি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
এসময় আটক তিনজনকে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ -এর ৩৪ (খ) ধারা অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
বিট কর্মকর্তা রহমত আলী বলেন, “তিনজন জরিমানা দিয়ে মুক্ত হয়েছেন। গুইসপাগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাতে পটিয়ার শ্রীমাই সংরক্ষিত বনে গুইসাপগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে।”
উদ্ধার হওয়া গুইসাপগুলো কালো গুইসাপ। বাংলাদেশে যে তিন প্রজাতির গুইসাপ পাওয়া যায় তার মধ্যে এটি একটি। কালো গুইসাপ লোকালয় ও বসতবাড়ির আশেপাশে বেশি থাকে।