Published : 17 Jun 2025, 08:51 PM
কক্সবাজারের মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণসংক্রান্ত মামলার নথি জালিয়াতির অভিযোগে যে মামলা হয়েছে, সেটার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে।
আদালত বলেছে, কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক ও সাবেক জেলা জজসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে ১ জুলাই অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে।
আসামিরা মঙ্গলবার সময়ের আবেদন করলে চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান তা মঞ্জুর করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ছিল। কিন্তু আসামিরা সময় ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
“আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করে ১ জুলাই অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন। সেদিন পর্যন্ত আসামিরা জামিনে থাকবেন।”
মামলার আসামিরা হলেন- কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল, কক্সবাজারের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার এবং কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহম্মেদ।
মঙ্গলবার শুনানির সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানান পিপি কাজী ছানোয়ার।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, জমি অধিগ্রহণের প্রায় ২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর একটি মামলা হয়। এতে আসামি করা হয় তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনসহ ২৮ জনকে। মামলায় বাদী হন মাতারবাড়ী এলাকার বাসিন্দা একেএম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী।
ওই মামলার বাদির সই ও নথি জালিয়াতি করে আসামির তালিকা থেকে রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়া হয়। পরে এ ঘটনায় একেএম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী বাদি হয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে সাতজনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।
ওই অভিযোগের তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ১ জুলাই দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, “দুদকের তদন্তে সিআইডির রাইটিং এক্সপার্টের মতামত নেওয়া হয়। সেই প্রতিবেদনে প্রথম মামলার বাদীর সই জাল করার প্রমাণ পাওয়া যায়।”
৫ আসামির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় দুদকের দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে কক্সবাজার জেলার বিশেষ জজ আদালত। পরে আসামিরা আদালত থেকে জামিন নেন।
গত ২০ মে কক্সবাজার বিশেষ জজ আদালতে ৫ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের দেয়া অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করা হয়। এরপর অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে ২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচার কাজ শুরু হয়েছে।