Published : 24 Sep 2024, 03:25 PM
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় হাতির আক্রমণে এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার রাতে বৈরাগ ইউনিয়নের পৃথক এলাকায় এই দুই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-৬ নম্বর ওয়ার্ডের আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার মো. কাশেম ওরফে দুলাল (৬০) এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খোশাল তালুকদার বাড়ি এলাকার রেহানা বেগম (৩৮)।
বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নোয়াব আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, সোমবার রাতে শুরুতে দুলাল ও পরে রেহানা হাতির আক্রমণে মারা যান।
“পরিবারের সম্মতিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সকালে রেহানাকে দাফন করা হয়েছে। এখন দুলালের জানাজা হচ্ছে। তারও ময়নাতদন্ত করা হয়নি। জানাজা শেষে দাফন হবে।”
স্থানীয়দের বরাতে চেয়ারম্যান মো. নোয়াব আলী বলেন, “গতকাল রাত ৮টার পর আশ্রয়ণ প্রকল্পে হাতির পাল হামলা করে। সেখানে দুলাল হাতির সামনে পড়ে গেলে তাকে শুড়ে তুলে আচাড় দেয় একটি হাতি। পরে পায়ে পিষ্ট করে মারে।
“এরপর রাত দেড়টার দিকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খোশাল তালুকদার বাড়ি এলাকায় পৌঁছে হাতির দল। রেহানা বাড়ির সামনে থেকে হাতির দলকে দেখছিল। এসময় পেছন থেকে একটি হাতি এসে অতর্কিত তাকে আক্রমণ করে আচড়ে মারে।”
নিহতদের মধ্যে দিনমজুর দুলাল বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক ৪নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর গুয়াপঞ্চক শাহ আহমদ বাড়ির মৃত মজিবুল হকের ছেলে। নিজের কোনো জমি না থাকায় সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ওই ঘরে স্ত্রী, তিন মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি গত কয়েক বছর ধরে বসবাস করছেন।
নিহত রেহানা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খোশাল তালুকদার বাড়ির মো. আকতারের স্ত্রী।
বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী বলেন, “হাতির দলটি কেইপিজেড এলাকায় থাকে। সন্ধ্যা হলে লোকালয়ে নেমে এসে তাণ্ডব চালায়। গত ৫-৬ বছর ধরে এসব হাতি নিয়মিত আমাদের এলাকায় মানুষ মারছে।
“বন বিভাগ ও প্রশাসনকে বলেও কোনো কাজ হয়নি। এখন এলাকায় হাতির আতঙ্কে মারাত্মক অবস্থা বিরাজ করছে।”
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুরে হাতির আক্রমণে মোহাম্মদ সৈয়দ ওরফে লুতু মিয়া (৫৫) নামের এক কৃষক নিহত হন।