Published : 11 Jun 2025, 08:50 PM
চট্টগ্রাম জেলায় করোনাভাইরাসের ৮০ হাজার ডোজ টিকা থাকার কথা বলছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম।
কোভিড মোকাবেলা বিষয়ে বুধবার এক জরুরি সভায় তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।
ভারতসহ পাশের কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ‘সাব-ভ্যারিয়েন্টের’ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য দেশে ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নতুন সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ভারতের বিষয়টি তুলে ধরে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রামের অনেকে চিকিৎসার জন্য এখন ভারতে আছেন। আমরা মনে করছি, রোগী আরও আসতে পারে। সেজন্য চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এবং যেসব পথে মানুষজন আসতে পারেন, সেসব জায়গায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে।
“র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করে দেখতে হবে তাদের কেউ আক্রান্ত কিনা। তাহলে সেখানে আইসোলেশনের ব্যপার আছে।”
মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়- এই চারটি প্রতিষ্ঠানে আরটিপিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা রাখা হবে।
সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইতোমধ্যে ৮০ হাজার ডোজ টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার ডোজ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সরবরাহ করা হয়েছে। বাকিগুলো সংরক্ষিত আছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিতরণ করা হবে।”
তিনি বলেন, “হজযাত্রী ও বিদেশফেরত ব্যক্তিদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি, ভারতে চিকিৎসা নিয়ে ফিরছেন এমন যাত্রীদের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।”
সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক অং সুই প্রূ মারমা বলেন, কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের পদায়নের ক্ষমতা আগে স্বাস্থ্য বিভাগের ছিল। এ বিষয়ে এবার এখনো নির্দেশনা আসেনি।
এরপর সিটি মেয়র এ বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সহকারীর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করে সভায় বলেন, এ সংক্রান্ত একটা নির্দেশনা পাঠানো হবে। আপনারা শিগগিরই দক্ষ চিকিৎসক ও নার্সদের পদায়নের ক্ষমতা পাবেন।
সভায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, “চমেক হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য আগে আলাদা ওয়ার্ড ছিল। পরে সেটাকে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হয়। এখন সেটিকে আবার করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হবে।
“ওয়ার্ডটিতে ৫০টি সাধারণ শয্যা ও ১০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। ইতিমধ্যে ওয়ার্ডটি সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।”
সভায় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন, সিসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, সচিব মো. আশরাফুল আমিন ও প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।