Published : 20 Jun 2023, 12:01 PM
চট্টগ্রামে খুন হওয়ার নয়দিন পর এক নারীর মরদেহ লক্ষ্মীপুরে কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ।
ওই নারীর স্বামীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে সোমবার মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান পতেঙ্গা থানার ওসি আফতাব হোসাইন।
নিহত নারীর নাম আসমা আক্তার (২৬)। স্বামী কাজী সাহেদুজ্জামান রিমন (৩৫) ও তিন সন্তানসহ তিনি বন্দরনগরীর পতেঙ্গা থানার খেজুরতলা এলাকায় থাকতেন।
ওসি আফতাব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত ১২ জুন আসমার বাবা পতেঙ্গা থানায় অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে খুন করে জামাতা লাশ গুম করেছেন।
অভিযোগ পেয়ে ১৪ জুন রিমনকে ইপিজেড থানার কাজীগলি এলাকা থেকে আটক ও কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে রিমনকে চারদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
ওসি আফতাব বলেন, “রিমান্ডে রিমন জানান, পারিবারিক কলহে স্ত্রী আসমাকে শ্বাসরোধে খুনের পর লাশ তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কাদিরখিল মিজিবাড়ি কবরস্থানে দাফন করেছেন।
“পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে সোমবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।”
আসমার বাবা মো. আলমের অভিযোগ, গত ১০ জুন বিকালে রিমন তাকে ফোন করে জানান, আসমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে রিমনের অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
মেয়ের খোঁজে আলম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খেজুরতলা এলাকায় তার বাসায় গিয়ে কাউকে পাননি।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, আসমার গলায় দাগ ছিল এবং লাশটি কাঁথা দিয়ে মোড়ানো ছিল। রিমন একজন ডাক্তার নিয়ে বাসায় গেলে তিনি আসমাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ নিয়ে যান রিমন।
টেকনাফের বাসিন্দা মো. আলমের মেয়ে আসমা চাকরির জন্য চট্টগ্রামে এসে ১০ বছর আগে রিমনকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে ৯ বছর বয়সী এক ছেলে এবং তিন বছর ও ১০ মাস বয়সী দুইটি মেয়ে আছে।