Published : 29 Oct 2023, 07:38 PM
পুলিশ হত্যা, সরকারি স্থাপনা ও সম্পদ ধ্বংস এবং প্রধান বিচারপতি বাসভবনে হামলার দায়ে ‘ইন্ধনদাতা’ মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে’ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
রোববার চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ‘বিএনপির নাশকতা, নৈরাজ্য ও অরাজকতার বিরুদ্ধে’ দারুল ফজল মার্কেট চত্বরে অনুষ্ঠিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “বিএনপি বার বার প্রমাণ করেছে এটা খুনিদের দল। এরা স্বাধীনতা ও মানবতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়দাতা। এদের মধ্যে দেশপ্রেমের বিন্দুমাত্র চিহ্ন নেই। এদের ঠিকানা ও কবরস্থান পাকিস্তান। এখনই সময় এসেছে এদের গলাধাক্কা দিয়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করা।
“পুলিশ হত্যা, সরকারি স্থাপনা ও সম্পদ ধ্বংস করা এবং প্রধান বিচারপতি বাসভবনে হামলা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। এসমস্ত অপকর্মের ইন্ধনদাতা খুনি মীর্জা ফখরুল ইসলামকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এই মীর্জা ফখরুলের রক্তের মধ্যেই রয়েছে বিশ্বাসঘাতকতা এবং রাজাকারের রক্ত। বংশগতভাবে পাকিস্তানী ভাবধারায় দীক্ষিত। এসমস্ত কুলাঙ্গারদের বাংলার মাটিতে ঠাঁই হতে পারে না।”
মাহতাব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজিরবিহীন উন্নয়ন প্রচেষ্টা এবং সাফল্যে ঈর্ষান্বিত দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীদের চিহ্নিত করে তাদেরকে সমূলে নির্মূল করার জন্য জনগণকে প্রস্তুতি নিতে হবে।”
নগর কমিটির প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, উপদেষ্টা শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, নগর কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, উপ-প্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম প্রমুখ।
এদিকে রোববার নগরীর বহদ্দারহাটে বিএনপির হরতালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সভায় সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “জনগণ বিএনপির হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে।”
বিএনপির উদ্দেশ্যে মেয়র রেজাউল বলেন, “বিদেশি অপশক্তির উস্কানিতে কান না দিয়ে নির্বাচনে এসে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করুন। অতীতের ভুলের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে রাজনীতির মূল ধারায় আসেন।
“অর্থনীতি ধ্বংসকারী হরতাল ডেকে কোনো লাভ হবেনা। জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে সন্তুষ্ট। তাই জনগণ আওয়ামী লীগের পক্ষে আছে।”
অন্যদিকে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালত ভবন চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন আইনজীবীরা।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশর আইন অঙ্গনের অভিভাবক মাননীয় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের বাসভবনে বিএনপি জামাত নগ্ন হামলা ও ভাংচুর করে শুধু প্রধান বিচারপতিকে আঘাত করেনি বরং বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় আঘাত এনেছে।
“এই বিএনপি জামাতের পরিকল্পিত হামলা করে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। মধ্যযুগীয় অন্ধকার রাষ্ট্রে পরিনত করার অপচেষ্টায় রত আছে। এই হামলায় বিবেকবান সকল মানুষ অশুভ অপশক্তির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করে দেশের আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে হবে।”
সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর পিপি আব্দুর রশিদ, বিশেষ পিপি অশোষ কুমার দাশ, অতিরিক্ত পিপি নাছির উদ্দীন ও অতিরিক্ত পিপি তপন কুমার দাশ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম বজলুর রশীদ মিন্টু, সহ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান, আইনজীবী ভবতোষ নাথ, মোস্তাফিজুর রহমান, অনুপম চক্রবর্তী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিধান বিশ্বাস, পাপড়ি সুলতানা, মইনুল আলম টিপু, মাহতাব উদ্দিন, স্বপন রায়, ওমর ফারুক শিবলী প্রমুখ।