Published : 11 Mar 2024, 07:49 PM
পৌনে সাত বছর আগে সাগরে মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১৫ লাখ ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় চার রোহিঙ্গাসহ ১১ জনকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদার।
দণ্ডিতরা হলেন- হাসেম, ছাদেক, খায়রুল আমীন, জাফর, খোকন, ইসমাইল, আনিসুর রহমান, আবদুল খালেক, সাদ্দাম হোসেন, নুর আলম ও সেলিম ওরফে মলয়। এদের মধ্যে শেষ চারজন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেদা শরণার্থী ক্যাম্পের সি ও ডি ব্লকের বাসিন্দা ছিলেন।
অতিরিক্ত পিপি এম এ ফয়েজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর ৯ (খ) ধারায় করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ১১ আসামির প্রত্যেককে এই ধারার সর্বোচ্চ ১৫ বছর করে কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সাজা দিয়েছেন আদালত।
“দণ্ডিত ১১ জনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এই মামলার প্রধান আসামি বোট মালিক নজির আহমদ মৃত্যুবরণ করায় তাকে আসামি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।”
মামলার নথি অনুযায়ী, মিয়ানমার থেকে সাগর পথে মাছ ধরার ট্রলারে করে ইয়াবার চালান চট্টগ্রামে আসছে- এমন তথ্য পায় র্যাব-৭। ২০১৭ সালের ২৩ জুন সন্ধ্যায় পতেঙ্গা থানার কয়লার ডিপো এলাকায় চট্টগ্রাম বন্দরের পাইলট জেটিতে পৌঁছালে ট্রলারটি আটক করা হয়।
‘এফবি মায়ের দোয়া’ নামের ওই ট্রলার থেকে ১২ জনকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ট্রলারের কাঠের পাটাতনের নিচ থেকে ১৫টি প্লাস্টিকের বস্তা থেকে ১৫ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করে র্যাব।
আটকের পর ট্রলার মালিক নজির আহমদ জানায়, ইয়াবা চালানটির মালিক চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ফারুক ওরফে বাইট্যা ফারুক নামের এক ব্যক্তি।
নজির আহমদ ও ফারুক দুজন মিলে ১১ লাখ টাকায় মাছ ধরার ট্রলারটি কেনেন বলেও জানিয়েছিলেন নজির। আটক হওয়ার এক মাস আগেও পাঁচ লাখ ইয়াবার আরেকটি চালান নিয়ে আসার কথা র্যাবকে জানিয়েছিলেন নজির।
এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি ময়নাল হক বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। তবে তদন্তে ফারুকের কোনো হদিস পায়নি পুলিশ।
২০১৮ সালের ১৬ জুলাই এ মামলায় আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার আদালত রায় দিল।