Published : 19 Aug 2023, 10:20 PM
গণতন্ত্রের নামে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায় বলে বক্তব্য এসেছে ওয়ার্কার্স পার্টির এক সমাবেশে।
শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় ‘সন্ত্রাস বিরোধী দিবস’ উপলক্ষে ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটি আয়োজিত সমাবেশে এ বক্তব্য দেন দলটির নেতারা।
১৯৯২ সালের ১৭ অগাস্ট সন্ত্রাসীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। এরপর থেকে প্রতি বছর সন্ত্রাসবিরোধী দিবস পালন করে আসছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
সমাবেশে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান বলেন, “আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের নামে নানা রকম স্যাংশনের কথা বলে প্রকাশ্যে বিএনপি- জামাতকে ক্ষমতায় বসানোর আড়ালে নিজের স্বার্থ হাসিলের পাঁয়তারা করছে।
“ওয়ার্কার্স পার্টি জনগণকে এ বিষয়ে সর্তক থেকে দেশকে প্রগতি, সমৃদ্ধি ও শান্তির পথে এগিয়ে গিয়ে যাওয়ার সংগ্রামে শামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানায়।”
শরীফ চৌহান বলেন, “সম্প্রতি মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী রাজাকার দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুকে ইস্যু করে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নতুন করে সারাদেশে সন্ত্রাস এবং সহিংস বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে।
“এর পাশাপাশি আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশি পশ্চিমা রাষ্ট্র এবং আমেরিকার ক্রমাগত অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ ও নাক গলানো সমস্ত কূটনৈতিক শিষ্টাচারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রচলিত সংবিধানের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী বিএনপি-জামাত ও সকল সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে জনগণকে সাথে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
সমাবেশে জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, “দেশ আজ মৌলবাদী বা দক্ষিণপন্থী সন্ত্রাসের কবলে। দেশে দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদে সৃষ্ট মৌলবাদী শক্তি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ধ্বংস করার খেলায় মেতেছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়।
“২০০১ থেকে বিএনপি-জামাত দেশের প্রগতিশীল রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে সন্ত্রাসনির্ভর দক্ষিণপন্থি এক রাষ্ট্র কায়েম করতে চেয়েছিল। কিন্তু ১৪ দলীয় জোট বাংলাদেশকে সেই অন্ধকার থেকে বের করে এনে প্রবৃদ্ধি ও শাসনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যায়।”
দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, “রাশেদ খান মেননকে হত্যা-প্রচেষ্টা ছিল একটি ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলা। যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, এদেশের মেহনতি মানুষের সংগ্রামের একটি বলিষ্ঠ কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়া।
“কিন্তু সেদিন জনগণের ভালোবাসার শক্তিতে ও সমর্থনে তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। এরপর থেকে ওয়ার্কার্স পার্টি জনগণের প্রতিটি গণআন্দোলন সকল সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে এগিয়ে নিয়ে যেতে দৃঢ় ভূমিকা পালন করছে।”
জেলা কমিটির সদস্য নাসিরুদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সদস্য মোখতার আহম্মদ, অধ্যাপক শান্ত পদ বড়ুয়া মনু, সুপায়ন বড়ুয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য ইন্দ্র কুমার নাথ, মনসুর মাসুদ, কুলদীপ বড়ুয়া ছোটন, শ্রমিক নেতা ফয়েজ আহম্মেদ, যুব নেতা ডা. মোহাম্মদ মহসীন, খোকন মিয়া, সঞ্জয় বড়ুয়া।