Published : 09 Nov 2022, 10:49 PM
সরকার হটানোর হুমকি না দিয়ে নির্বাচনে আসতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে দলের জনসভা সফলে বুধবার নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সেন্টারে নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ প্রতিনিধি সভায় বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
হানিফ বলেন, “বিএনপির সাজাপ্রাপ্ত পলাতক নেতা তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করতে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তিনি স্লোগান দিলেন- ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। মানে বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাও!
“কোথায় নিয়ে যেতে চান আপনারা? আপনাদের অধ্যায় তো দুটো, ২০০১-০৬ সাল। সেখানে নিয়ে যেতে চান? নাকি একাত্তরের আগে পাকিস্তানে নিয়ে যেতে চান। এটাই দেশবাসীর প্রশ্ন।”
বিএনপি বিদেশি অর্থায়নে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় দাবি করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে শক্তিশালী। আওয়ামী লীগের শিকড় বাংলার মাটির গভীরে। এই আওয়ামী লীগকে চাইলেই ধাক্কা দিয়ে ফেলা যাবে না।
“অতএব সেই হুমকি দিয়ে লাভ নেই। নির্বাচনে আসুন, সংবিধানসম্মত পথ অনুসরণ করুন, সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা থাকবে।”
৪ ডিসেম্বরের জনসভা সফল করতে দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, “এই চট্টগ্রামে স্মরণকালের জনসভা করে প্রমাণ করে দেব এই জেলার মানুষ বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থাশীল।”
সভার প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, “চট্টগ্রামকে ভালোবাসেন বলেই প্রধানমন্ত্রী ৪ ডিসেম্বর প্রথমে চট্টগ্রামে জনসভা করবেন। অতীতে যেভাবে আমরা জনসভা করেছি, এবারও একইভাবে করে চট্টগ্রামের অতীতের সকল জনসভার ইতিহাস আমরা ভঙ্গ করব।
“আমাদের চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী। ইনশল্লাহ, মানুষ কানায় কানায় ভর্তি হয়ে এই পলোগ্রাউন্ড উপচে পড়বে।”
সভায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, “চট্টগ্রামের অতীতের সকল জনসভার রেকর্ড ভঙ্গ করতে হবে। ৪ ডিসেম্বরের জনসভায় নতুন রেকর্ড করতে হবে। আমরা বিএনপির সঙ্গে কোনো পাল্টাপাল্টি জনসভা করতে চাই না। এ ধরণের মানসিকতা আমরা পোষণ করি না।”
তিনি আরও বলেন, “কোনো মানুষ যদি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে চায়, নৌকার মিছিলে আসতে চায়, তাকে হাইব্রিড আর কাউয়া বলে বিতাড়িত করা আওয়ামী লীগের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র মেনে কেউ আসতে চাইলে তাকে ঠেলে বিএনপির দিকে পাঠিয়ে দিতে চাওয়ার মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।”
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, নজরুল ইসলাম, সামশুল হক চৌধুরী, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহফুজুর রহমান ও খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের মফিজুর রহমান, সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য চেমন আরা তৈয়ব, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।