Published : 03 Aug 2023, 07:58 PM
দক্ষিণ চট্টগ্রামের পাঁচ থানায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা ‘গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার করা না হলে থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি।
এতে তিনি বলেন, “অতীতের গায়েবি মামলার ধারাবাহিকতায় গত ১৬ দিনে লোহাগাড়া, পটিয়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশ ও বোয়ালখালী থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামী করে পাঁচটি গায়েবি মামলা করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
“এসব মিথ্যা মামলা সুষ্ঠু তদন্ত করে অবিলম্বে প্রত্যাহার না করলে প্রয়োজনে থানা ঘেরাওয়ের মতো কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।“
আবু সুফিয়ানের অভিযোগ, “প্রত্যেক মামলায় একই ধারা ব্যবহার করা হয়েছে। শুধুমাত্র স্থান, সময়, বাদী এবং আসামিদের নাম ভিন্ন রেখে একইভাবে ঘটনা বর্ণনা করেছে। প্রতিটি মামলায় ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের ধারা উল্লেখ করা করেছে, যাতে করে মামলা কঠিন হয়। “
তার দাবি, অথচ ওই সময় সেসব এলাকাতে কোনো প্রকার জমায়েত, মিছিল সমাবেশ বা অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। শুধু আগামী নির্বাচনে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করার জন্য মামলাগুলো করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার এ বিএনপি নেতা বলেন, “হজ পালনের জন্য দেড় মাস সৌদি আরবে ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী ও সাইফুল করিম। তারা দেশে আসেন গত ৩০ জুলাই।
“অথচ ২৮ জুলাই চন্দনাইশ পৌরসভা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে যে মামলা করা হয়েছে তাতে এ দুজন আসামি। মামলায় ঘটনার সময় উল্লেখ করা হয়েছে ২৭ জুলাই দুপুর সোয়া ১২টা। ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে পৌরসভার গাছবাড়িয়া এলাকা। অথচ সেদিন ওই এলাকাতে এধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোশারফ হোসেন, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, এস এম মামুন মিয়া, নাজমুল মোস্তফা আমিন, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু মো. নিপার, মফজল আহমদ চৌধুরী, হাজী মো. রফিক, মো. ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, নূরুল কবির।