Published : 14 May 2025, 11:28 PM
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বেশ কিছু বড় ধরনের পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ‘ইসলামিক ভার্সন’ চালুর বিষয়টিও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে।
বুধবার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের দ্বিতীয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।
এরমধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ’ইসলামিক ভার্সন’ চালুর বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। যাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সিদ্ধান্তগুলো মধ্যে রয়েছে
>> একজন চাঁদাদাতা পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হবার পর আগ্রহী হলে তাকে তার মোট জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ অর্থ এককালীন আর্থিক সুবিধা হিসেবে ফেরত দেওয়া যাবে।
>> প্রবাস ও প্রগতি পেনশন স্কিমে সর্বনিম্ন মাসিক চাঁদার হার ২০০০ টাকার পরিবর্তে ১০০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রগতি পেনশন স্কিমে মাসিক সর্বোচ্চ জমার পরিমাণ ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হবে।
>> আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা চুক্তির আওতায় নিয়োজিত সেবাকর্মীদেরকে প্রগতি পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
>> সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ইসলামিক ভার্সন চালুর বিষয়টি পরীক্ষা করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়।
শেষ বয়সে সব শ্রেণির মানুষের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য ২০২৩ সালের অগাস্টে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছিল আগের সরকার।
প্রায় চার লাখ মানুষ এই সেবার আওতাভূক্ত হয়েছে। পেনশন সেবায় ‘প্রবাস’, ‘প্রগতি’, ‘সুরক্ষা’ ও ‘সমতা’ স্কিম চালু রয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত সব বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রণ করতে পারছেন। বয়স ৫০ পূর্ণ হলেও টানা ১০ বছর টাকা জমা দিয়ে পেনশন সুবিধা পেতে পারেন যেকেউ।