Published : 03 Nov 2024, 07:04 PM
দেশে স্বজনদের কাছে প্রবাসীদের পাঠানো আয়ে উল্লম্ফন হয়েছে সদ্য সমাপ্ত মাস অক্টোবরেও; আগের বছরের একই মাসের চেয়ে রেমিটেন্স বেড়েছে ২১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
আগের দুই মাসের বাড়তি রেমিটেন্স আসার ধারায় অক্টোবরে রেমিটেন্স এসেছে ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের একই মাসে এসেছিল ১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।
এ নিয়ে টানা তিন মাসে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এল।
বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার রেমিটেন্সের হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আগের মাস সেপ্টেম্বরে এসেছিল ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার এবং মাসের শুরুতে সরকার পতন আন্দোলনের ধাক্কা কাটিয়ে অগাস্টে রেমিটেন্স এসেছিল ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।
যদিও সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার এবং সরকার পতনের আন্দোলনের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অগাস্টের প্রথম ৯ দিন ঠিক মত রেমিটেন্স আসেনি।
হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছর চার মাসে অর্থাৎ জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছে ৮ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। গত বছর একই সময়ে রেমিটেন্সের প্রবাহ ছিল ৬ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ প্রথম চার মাসে রেমিটেন্স বেড়েছে ২৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রেমিটেন্স আসে ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।
চলতি বছর মে মাসে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে ডলারের দর এক লাফে ১১০ থেকে ১১৭ টাকায় উঠে যায়। এতে ব্যাংকিং চ্যানেলে বাড়তে থাকে রেমিটেন্স।
সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্সে জোয়ার, বেড়েছে ৮০.৪৫%
রেমিটেন্স বাড়ার কারণ হিসেবে সিটিজেনস ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাসুম তিনটি কারণ তুলে ধরেছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ব্যাংকে রেমিটেন্সের দর বাড়ছে, সেটা খোলাবাজারের দরের সমান হয়েছে। তাই দর ভালো হওয়ার জন্য ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্সে আসার প্রবাহ বাড়ছে।
“দেশের ওপর প্রবাসীদের আস্থা বাড়ছে। তারা মনে করছেন দেশে রেমিটেন্স পাঠালে সেটার যথাযথ ব্যবহার হবে। সেটাও অন্যতম একটা বড় কারণ হিসেবে আমরা লক্ষ্য করছি।”
সিটিজেনস ব্যাংকের এই ব্যস্থাপনা পরিচালক মনে করেন, হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দোরাত্ম্য আগের চেয়ে কমেছে। তাতে হুন্ডিতে রেমিটেন্স আসাও কমেছে।
“হুন্ডি ব্যবসা কমে যাওয়ায় ডলার মার্কেট আগের চেয়ে স্থিতিশীল হয়েছে।”