Published : 25 Jul 2023, 08:17 PM
আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা এসঅ্যান্ডপি বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা দীর্ঘ মেয়াদে নেতিবাচক হওয়ার আভাস দিয়েছে, আগে যা লম্বা সময় ধরে স্থিতিশীল ছিল।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ঋণমান সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং প্রকাশ করে বলেছে, সামনের দিনগুলোতে তা নেমে যেতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস (এসঅ্যান্ডপি) এর কারণ হিসেবে আগামী বছর বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার ঝুঁকি এবং বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ চাপে থাকাকে তুলে ধরেছে।
তবে সংস্থাটি বাংলাদেশের সার্বভৌম ক্রেডিট রেটিং বা ঋণমান সূচক আগের মতোই দীর্ঘ মেয়াদে ‘বিবি মাইনাস’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘বি’ বহাল রেখেছে। ২০১০ সালে এসঅ্যান্ডপির কাছ থেকে প্রথমবারের মতো ঋণমান পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ একই রেটিং পেয়ে আসছে।
রয়টার্সা লিখেছে, সংস্থাটির হালনাগাদ পর্যবেক্ষণে বলছে- বিদেশি ঋণ ও তারল্যের বর্তমান অবস্থায় অবনতি হলে রেটিং কমে যেতে পারে।
এর আগে গত ৩০ মে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেক আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডি’স বাংলাদেশের ঋণমান আগের বিএ৩ থেকে কমিয়ে বি১ করে।
মঙ্গলবার এসঅ্যান্ডপির রেটিং প্রতিবেদনের বরাতে রয়টার্স লিখেছে, আগামী তিন অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি ৬ থেকে ৬ দশমিক ৪ হারে বাড়তে পারে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ।
রয়টার্স বলছে, ডলার সংকটে জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধে হিমশিম অবস্থায় থাকা বাংলাদেশের চলতি হিসাবের আয় প্রত্যাশার চেয়ে কমে যাওয়া, পূর্বাভাসের চেয়ে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে অনেক বেশি ঘাটতি তৈরি হওয়া কিংবা বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো না গেলে তা ক্রেডিট রেটিং নেতিবাচক দিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে চাপ তৈরি করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এসঅ্যান্ডপি।
এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থাটি আগামী এক বছরের মধ্যে বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ থেকে আয় বাড়িয়ে বৈদেশিক লেনদেনের তারল্যের সূচকগুলোকে স্থিতিশীল করার পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন
মুডি’স রেটিংয়ে অবনমনে কী প্রভাব অর্থনীতিতে?