Published : 03 Jun 2025, 09:02 PM
সদ্যসমাপ্ত মে মাসে বাংলাদেশ থেকে ৪৭৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি।
মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো— ইপিবি তাদের পরিসংখ্যানে বলেছে, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে রপ্তানি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন বা সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার।
আগের অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে আসে চার হাজার ৮৫ কোটি ডলার। সে হিসাবে, পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি।
ইপিবির হিসাব অনুযায়ী, মে মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানির আয়ে ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
গেল মাসে পোশাক খাত থেকে এসেছে ৩৯১ কোটি ৯০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের মে মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৩৫০ কোটি ৩ লাখ ডলারের পণ্য।
গত ১১ মাসে তৈরি পোশাক খাতে মোট রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৫৬ কোটি ডলার, যা মোট আয়ের প্রায় ৮১ শতাংশ। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি তথ্য বলছে, একক খাত হিসাবে মে মাসে ৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হয়েছে; প্রবৃদ্ধি প্রায় ১০ শতাংশ।
আগের বছরের মে মাসে হোম টেক্সটাইল থেকে রপ্তানি হয়েছিল ৭ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পণ্য।
মে মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতেও প্রবৃদ্ধি রয়েছে। এই মাসে ১২ কোটি ৫২ লাখ ডলারের চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা ২০২৪ সালের মে মাসে ছিল ৯ কোটি ২৭ লাখ। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ দশমিক ১০ শতাংশ।
অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি এক বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে। মে মাস শেষে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১০৫ কোটি ৭৮ লাখ ডলার।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে এই খাত থেকে আয় হয় ৯৩ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। ফলে ১১ মাসের হিসাবে এই খাতে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে।
মে মাসে পাট পণ্যের রপ্তানি আয়ও বেড়েছে। আগের বছরের মে মাসে ৭ কোটি ২৩ লাখ ডলারের পাটপণ্য রপ্তানি হলেও এবার সেটি ৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলারে উঠেছে। প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৭ শতাংশ।
অর্থবছরের ১১ মাসে এই খাত থেকে মোট রপ্তানি হয়েছে ৭৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের পণ্য।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সর্বনিম্ন রপ্তানি আয় আসে এপ্রিলে; ৩০১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরে এর আগে সর্বনিম্ন রপ্তানি আয় ছিল গত সেপ্টেম্বরে। সে মাসে আসে ৩৫২ কোটি ডলার।