Published : 17 May 2025, 10:58 PM
রোজার ঈদের পর 'জয়া আর শারমিন' সিনেমা মুক্তির মধ্য দিয়ে নতুন সিনেমা পেল প্রেক্ষাগৃহ। তবে সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে রাজধানীর মাত্র চারটি প্রেক্ষাগৃহে।
কোভিড মহামারীর সময় লকডাউনে আটকে থাকা দুই নারীর সম্পর্কের গল্প নিয়ে ‘জয়া আর শারমিনের’ নামের সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন পিপলু আর খান। সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে এসেছে শুক্রবার।
সিনেমাটি মুক্তি নিয়ে গ্লিটজকে পরিচালক পিপলু খান বলেছেন, স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখা, সীমান্ত সম্ভার ও এসকে টাওয়ার শাখা এবং কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমাসে দেখা যাচ্ছে 'জয়া আর শারমিন'।
তবে প্রেক্ষাগৃহ বাড়াতে চেষ্টা করেছিলেন পরিচালক। কিন্তু ‘বিশেষায়িত’ সিনেমা ভেবে নিয়ে এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি প্রেক্ষাগৃহের মালিকরা বলে ভাষ্য পিপুলের।
তিনি বলেন, “ঢাকার বাইরে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু এই ধরনের সিনেমার ব্যাপারে আমাদের প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা একটু উদাসীন। তারা ভাবছেন, এটা একটু ভিন্ন ধাঁচের সিনেমা, দুইজন নারীকে নিয়ে তৈরি, তাই দর্শক নাও হতে পারে।”
তবে পরিচালক মনে করেন, সিনেমাটি ‘বিশেষায়িত’ নয়, বরং ‘সবার জন্য’ পরিবার নিয়ে দেখার মত সিনেমা।
“বড় মাপের অভিনয়শিল্পী রয়েছেন এতে। এটি একটা বিশেষ সময়ের আবেগ থেকে করা সিনেমা। পাঁচ বছর আগের মহামারীকে ঘিরে এর গল্প, যার সর্বজনীন আবেদন রয়েছে । পরিবার নিয়ে দেখার মত, মানবিক গল্পের সিনেমা এটি।”
সিনেমায় ‘ছোট অনুভূতির বড় গল্প’ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন জানিয়ে পিপলু বলেন, “মানুষ অসহায় হলে যে কত জটিলতা তৈরি হয়, তা সূক্ষ্মভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছি। এই সিনেমায় দুইজন অসাধারণ অভিনেত্রী রয়েছেন, যাদের সবসময় দেখা যায় না।”
সিনেমার প্রচারণা কম হচ্ছে কী না জানতে চাইলে এই পরিচালক কিছু সীমাবদ্ধতার কথাও তুলে ধরেছেন।
তরা কথায় এই ধরনের সিনেমার কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে, তাই ঘটা করে ব্লকবাস্টার সিনেমার মত বড় বাজেট নিয়ে প্রচারণা চালানো সম্ভব হয়নি।
“তবে আমরা আমাদের মত করে সুষ্ঠু প্রচারণার চেষ্টা করছি। এটা এক ধরনের প্রযোজক-কেন্দ্রিক এক্সপেরিমেন্টও বলা যায়। দেখা যাক, দর্শক কীভাবে গ্রহণ করেন।”
'জয়া আর শারমিন' সিনেমায় অভিনয় করেছেন জয়া আহসান ও মহসিনা আক্তার।
ট্রেইলারে দেখা গেছে, কোভিড মহামারীর সময় তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু দৃশ্য। শুরুর দিকে আনন্দ-আড্ডা, রান্না দিয়ে দুইজনকে দারুণ সময় পার করতে দেখা গেছে। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের জীবনে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং বাইরের দুনিয়া থেকে আসা দুঃসংবাদগুলো তাদের জীবনে নিঃশব্দে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা ও ভয় ঢুকিয়ে দেয় দুই নারীর মনে।
পরিচালক পিপলু জানিয়েছিলেন, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে সারা হয়েছিল ‘জয়া আর শারমিন’ সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ। সীমিত লোকবল নিয়ে মহামারীর সময়ে শুটিং করা হয়েছিল সিনেমাটির।
সিনেমা নিয়ে জয়া আহসান বলেন, “দুজন নারীর অচেনা ভুবনের সিনেমা। আমাদের অন্তর্জগতের ঘাত-প্রতিঘাত আর অনুক্ত অনুভূতির ডকুমেন্টেশন। অদ্ভুত এক সময়ে শুট করা ছোট্ট একটি সিনেমা, তবে দর্শকের অনুভূতিতে নাড়া দেবে বলে আশা করি।”
সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্য যৌথভাবে লিখেছেন পিপলু আর খান ও নুসরাত ইসলাম। প্রযোজনা করেছেন পিপলু ও জয়া। সিনেমাটি মুক্তির জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
সিনেমায় জয়া আহসান, মহসিনা আক্তার ছাড়াও বিশেষ উপস্থিতিতে রয়েছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী।