Published : 27 May 2025, 03:56 PM
দশকের পর দশক ধরে ভারতীয় উপমহাদেশের শ্রোতারা মোহাচ্ছন্ন হয়ে আছেন যার গানে, সেই কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমারের জীবন ছিল বৈচিত্র্যে ভরা। শোনা যায় এই গায়ক নাকি তার বাড়িতে একটি কঙ্কাল ও মাথার খুলি রেখেছিলেন।
ভিকি লালওয়ানির ইউটিউব চ্যানেলে এসে কিশোর কুমারের ছেলে গায়ক অমিত কুমার তার বাবাকে নিয়ে প্রচলিত এই গল্পের ভেতরের কথা খোলাসা করেছেন।
হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, অমিত বলেছেন, তাদের বাড়িতে একটি মাথার খুলি ছিল, কঙ্কাল নয়। এবং সেগুলো কোনো কাজে বা কাউকে ভয় দেখানোর জন্যও রাখা হত না।
অমিতের কথায় পূর্ব আফ্রিকার দেশ নাইরোবিতে শো করতে গিয়ে সেটি সংগ্রহ করেছিলেন কিশোর।
তিনি বলেন, “ওগুলো আমরাই এনেছিলাম। নাইরোবিতে শো করতে গিয়েছিলাম। বাবার শখ ছিল এইরকম অ্যান্টিক টাইপের জিনিস সংগ্রহ করা। ফেরার পথে আমরা এগুলো নিয়ে এসেছিলাম, ওগুলো এখন ট্রাস্টের কাছে আছে।“
আফ্রিকান সংস্কৃতি, মিউজিক পছন্দ কিশোর কুমারের পছন্দ ছিল।
অনেকের চোখে কিশোর কুমার একজন ‘অহংকারী মানুষ’ ছিলেন। এ বিষয়ে অমিতকে প্রশ্ন করা হয়ে তিনি বলেছেন, এসব ধারণা সঠিক নয়।
“বাবা নিজেই নিজেকে নিয়ে মজা করতেন। বাবা বলতেন, আচ্ছা, পৃথিবী আমাকে পাগল বলে, আমি নিজেও তো বলি, এই পৃথিবী পাগল। যে আমাকে পাগল বলে, তাদের বলতে দাও, এটা খারাপ কিছু নয়। বাবা ভাবতেন সবাইকেই একদিন কঙ্কালের মত হয়ে যেতে হবে।“
১৯২৯ সালের ৪ অগাস্টে ভারতের মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ার শহরে এক বাঙালি পরিবারের জন্ম নেন কিশোর। তিনি ছিলেন ওই পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান। বড় ভাই অশোক কুমার ছিলেন হিন্দি সিনেমার এক খ্যাতিমান পুরুষ। অশোক কুমারের অনুপ্রেরণাতেই কিশোর এগিয়ে গেছেন তার জীবনে।
গায়ক এবং অভিনেতা ছাড়াও চিত্র্যনাটকার, পরিচালক, প্রয়োজক একং সুরকার হিসেবেও কিশোর কুমারকে দেখেছে ভারতের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি।তবে সিনেমায় তার অভিনীত বেশিরভাগ চরিত্রই ছিল কমেডি ধাঁচের।
১৯৮৭ সালে জীবনের ইতি টানেন কিশোর কুমার।