Published : 09 Jun 2025, 01:03 PM
ঢাকার তেজকুনি পাড়ার হোন্ডার গলির একটি বাড়ির সামনে দেয়ালে বড় করে লেখা ফরিদা পারভীন ফাউন্ডেশন 'অচিন পাখি সংগীত একাডেমি'।
বাড়িটির সিঁড়ি বেয়ে তৃতীয় তলায় পৌঁছালে দেখা যাবে ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী সারি করে বসে; সবার পরনে সাদা পোশাক। এই শিক্ষার্থীদের বয়স ৪ থেকে ৩৫ বছর। সবাই গুরুর অপেক্ষায়।
কিছুক্ষণ পরই লাল-সাদা জামদানি শাড়ি পরে এলেন ‘গুরু’, যার কণ্ঠে অনেকদিন ধরেই বেঁচে আছেন লালন সাইঁজি। তিনি ফরিদা পারভীন।
হাঁটাচলার ধরনই বলে দেয়, শরীর এখন আর সায় দেয় না। ধীরে ধীরে এসে তিনি একটা টুল নিয়ে বসলেন শিক্ষার্থীদের মাঝ বরাবর। শিক্ষার্থীরা ছুটে এসে ঘিরে ধরে গুরুকে, তিনিও ভালোবাসায় জড়িয়ে ধরেন শিক্ষার্থীদের।
ফরিদা পারভীনের কণ্ঠে লালনের গানের যে চর্চা হয়ে এসেছে গেল পাঁচ দশক ধরে, সেটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে প্রায় ১৬ বছর আগে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন 'অচিন পাখি সংগীত একাডেমি'।
লালন ফকিরের গানকে উত্তরসূরীদের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখার চিন্তা থেকেই এই প্রতিষ্ঠান গড়েছিলেন, ভাষ্য এই শিল্পীর।
চলতি বছরের শুরুতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে দীর্ঘদিন আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন ফরিদা পারভীন। এখন কিছুটা সুস্থ থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শে বাসাতেই থাকেন তিনি। বর্তমানে গানের ক্লাসে নিয়মিত না থাকলেও, মাঝে মাঝে স্বামী গাজী আবদুল হাকিমের সহায়তায় ক্লাসে আসেন।
তবে তার অনুপস্থিতে এই প্রতিষ্ঠানটি ভবিষৎ নিয়ে চিন্তিত ফরিদা পারভীন। তার শারীরিক অসুস্থতা, প্রতিষ্ঠানের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়া, এবং নিজস্ব ভবন না থাকায় টিকে থাকার লড়াইয়ে এই প্রতিষ্ঠান জর্জরিত বলে জানিয়েছেন ‘অচিন পাখি একাডেমি’ সংশ্লিষ্টরা।
এক ছুটির দিনে 'অচিন পাখি সংগীত একাডেমিতে’ হাজির হয়েছিল গ্লিটজ টিম। সংগীতের এই পাঠশালার শুরুর গল্প তখন গ্লিটজের কাছে করেছেন ফরিদা পারভীন।
ফরিদা পারভীন বলেছেন, ২০০৯ সালের ১৯ মার্চ ‘অচিন পাখির’ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
“যেহেতু আমি লালন সাঁইজির গান করি, লালন গানের চর্চা করি। লালন ফকিরের গানের সেই ধারাকে উত্তরসূরীদের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই এই প্রতিষ্ঠান। আমার গুরু মোকছেদ আলী সাঁইজির কাছে আমি লালন গান শিখেছি, সেই প্রেম ও শ্রদ্ধা থেকেই এই প্রতিষ্ঠান তৈরির ভাবনা এল।"
নামটি ‘অচিন পাখি’ কেন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, সাঁইজির গানের মধ্যেই অচিন পাখির ধারণা এসেছে। অচিন পাখি এমন এক অজানা অস্তিত্ব, যাকে চেনা যায় না, কিন্তু অনুভব করা যায়।
“সেই অনুভব থেকেই আমরা এগিয়ে চলেছি। এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে, এর মধ্যে মো. মারুফ হোসেন সে আমাকে গুরু হিসেবে মানেন, নিজ থেকেই আমার গানের প্রতি তার ভালোবাসা তৈরি হয়েছে।
“একদিন মারুফকে বললাম আমার একটা আর্জি তৈরি হয়েছে, তোমাদের নিয়ে একটা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সেখানেই অচিন পাখি নামটা আসে।”
লালনের ভাবনায় তার সংগীত প্রতিষ্ঠানটির নাম রাখা হয়েছে জানিয়ে ফরিদা পারভীন বলেন, "লালন বলেছিলেন, ‘অচিন পাখি বাসে মনে, যার বাঁধন নাই ঘরে’। আমিও সেই অচিন অনুভবটিকে এই সংগীত একাডেমির মাধ্যমে জীবন্ত রাখতে চাই।"
কী শেখানো হয় একাডেমিতে?
এখানে কী শুধুই লালন চর্চা করা হয় প্রশ্নে ফরিদা পারভীন বলেছেন, কেবল লালনের গান নয়, সংগীতের প্রথম যে শর্ত ‘সরগম’, সেটি শেখানো হয় 'অচিন পাখি সংগীত একাডেমিতে’।
এছাড়া শাস্ত্রীয় সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, ক্লাসিক্যাল গান গানও শেখানো হয় বলেছেন জানিয়েছেন তিনি। শেখানোর তালিকায় আছে দেশের গান ও ছড়া গানও।
তবে অচিন পাখিতে ভর্তি হওয়ার সময় শিক্ষার্থীর জন্য অন্যতম একটি শর্ত জানিয়ে দেওয়া হয়, সেটি হল তাদের অবশ্যই লালনের গানের তালিম নিতে হবে।
ফরিদা পারভীন বলেছেন, তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গানের পাশাপাশি দেশি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রও শেখানো হয়।
“যেমন বাঁশি, তবলা, দোতারা, গিটার, ড্রয়িং। আটজন প্রশিক্ষক রয়েছে যারা নিয়মিত তালিম দিয়ে থাকেন।”
বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার টানা তিনদিন, সকাল ও বিকাল দুই পালায় সংগীত ও বাদ্যযন্ত্রের শিক্ষার্থীরা তালিম নিয়ে থাকেন বলে জানিয়েছেন ফরিদা পারভীন।
একুশে পদক পাওয়া এই শিল্পীর ভাষ্য, “লালন সাঁইজির অমিয় বাণী 'সত্য বলে সুপথে চল ওরে আমার মা' এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে সংগীত চর্চা করা হয় এখানে।”
শেখানোর পদ্ধতি নিয়েও কথা বলেছেন ফরিদা পারভীন।
“সুর তো সব গানেই আছে, তবে প্রতিটি ধারার সুর আলাদা। শিশুরা কোন ধারার সুরে মুগ্ধ হয়, তা বোঝার চেষ্টা করি। সারা পৃথিবীতে লোকগানের যে একটা ধারা আছে, মাধুর্য আছে, মাটির গানের প্রতি যে শ্রদ্ধা, তাদেরকে আধুনিক গানের চেয়ে এই লোকজ গান ধারণ করার শিক্ষা দেই।
“গান শেখানোর সঙ্গে সঙ্গে শুদ্ধতার চর্চাও চলে। আমি সবসময় বলি, সংগীত নিয়ে প্রতারণা নয়, এখানে ভালোবাসা ছাড়া কিছুই হবে না।”
'অচিন পাখির' সবাইকে সাদা পোশাকে দেখা যাচ্ছে, এটা কেন?
উত্তরে ফরিদা পারভীন ফিরেছেন লালন প্রসঙ্গে।
তিনি বলেন, "অচিন পাখিতে আসলে সবাইকে সাদা কাপড় পড়তে হবে। আমাকে অনেকে জিজ্ঞেস করে আপনি সব সময় সাদা কাপড় পড়েন কেন? কারণ লালন সাঁইজির জীবনের দর্শন ছিল শুভ্রতা, পবিত্রতা। তিনি সব সময় সাদা কাপড়ে নিজেকে আবৃত করে রাখতেন। শুভ্রতার আদি অন্তর ধারণ করতেই সবাইকে সাদা কাপড় পরে আসতে বলি।"
আট বছরের শিক্ষার্থী ইহানুর রহমান, চার বছর ধরে গান শিখছে অচিন পাখিতে। স্কুলে তাকে ‘ইহান গান’ ডাকে সবাই।
এই ডাক বেশ উপভোগ করে জানিয়ে ইহান বলেন, "এখানে গান শেখার পরিবেশ অন্যরকম, পারিবারিক স্নেহ যত্নে গান শিখানো হয়। ফরিদা ম্যাডাম অনেক আদর দিয়ে গান শেখান, যতগুলো সূক্ষ্ম ভুল হয় সেগুলো ধরে ধরে তিনি ঠিক করে দেন।"
১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থী সামাইরা জাহিন বলেন, “আট বছর বয়স থেকে গান শিখছি। সবাই হাতে ধরে গান শেখান। যে কোনো অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার আগে এইখানে আমাকে খুব সুন্দর করে প্রস্তুত করে দেয়।"
ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিউটের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহের লাবিব খানের ‘অচিন পাখিতে’ তালিম নিচ্ছেন নয় বছর ধরে।
লাবিব বলেন, “এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা লালনের আদর্শকে গ্রহণ করতে শিখেছি। এটা যেন সবসময় বেঁচে থাকে আমাদের এটাই চাওয়া।”
তাদের অভিভাবকরাও জানিয়েছেন, এই প্রতিষ্ঠান গান শিখে সন্তানের মানসিক বিকাশের ‘পরিবর্তন তারা পেয়েছেন’।
জোহা নামে এক অভিভাবক বলেন, “সাড়ে তিন বা চার বছর ধরে আমার ছেলেকে এখানে গান শেখাই। এতে তার মনের মানসিক বিকাশ, আত্নার পরিশুদ্ধি বিকশিত হচ্ছে। আমি আমার সন্তানের মধ্যে অনেক পরিবর্তন পেয়েছি। এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর।"
অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে 'অচিন পাখি'
প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে সামনে কী ধরনের স্বপ্ন দেখেন জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম স্থপতি ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম বলেছেন, ফরিদা পারভীনের আজীবন স্বপ্ন দেখেছেন এই সংগীত প্রতিষ্ঠান নিয়ে।
“আমরা হয়ত থাকব না, ফরিদা পারভীন থাকবেন না, কিন্তু আমরা চাই, ‘অচিন পাখি’ যুগ যুগ ধরে থেকে যাক। এই প্রতিষ্ঠানটি যেন আরও অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে যায়। লালনের বাণী আর বাঁশির সুর দিয়ে মানুষের হৃদয়ের এতটা কাছাকাছি যাওয়া যায়, অন্য কোনো মাধ্যমে সেটা সম্ভব নয়।”
বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম মনে করেন, সংগীতচর্চা কেবল স্কুল বা কলেজকেন্দ্রিক হতে পারে না। তারা চেয়েছেন অচিন পাখির শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষকদের সান্নিধ্যে থেকে কিছু শিখতে পারে।
“তাই কোনো স্কুলের ভবন নয়, আমরা একটি ভাড়াবাসায় প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছি যেখানে সুর সাধনা হয় গুরু-পরম্পরায়।"
তবে প্রতিষ্ঠানটি এখন ‘টিকে থাকার লড়াইয়ে’ আছে জানিয়ে হাকিম বলেন, ‘অচিন পাখি’ বাঁচিয়ে রাখতে কোভিড মহামারীর পর থেকেই তাদেরকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
“আমরা প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মাত্র ৭০০ টাকা ফি নিই। অনেকে হয়ত সেই টাকাটাও দিতে পারছে না। আটজন শিক্ষক এই একাডেমিতে পাঠদান করছেন। যেহেতু এটা ভাড়াবাড়ি, এখানে প্রতি মাসে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকার মত খরচ হয়। ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, বিদ্যুৎ, শিক্ষকদের বেতন, সব মিলিয়ে। অথচ আমাদের মাসিক আয় মাত্র ৫৪ হাজার টাকা। বাকিটা ফরিদা পারভীন নিজের পকেট থেকে ভর্তুকি দিচ্ছে।”
চলার পথের প্রতিবন্ধকথার কথা বিস্তুারিত তুলে ধরেন এই বংশীবাদক।
হাকিম বলেন, "ফরিদা দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন, অনেক দেশি-বিদেশি প্রোগ্রাম বাতিল করতে হয়েছে। সেই প্রোগ্রাম থেকে যা আয় হত, তা দিয়েই আমরা একাডেমির খরচ চালাতাম। আমরা কিন্তু ব্যবসা করতে এই প্রতিষ্ঠান খুলিনি, লালনের গান ছড়িয়ে দিতে এই প্রতিষ্ঠান চালু করেছি।"
সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কখনো ‘সহযোগিতা চাওয়া হয়নি’ জানিয়ে হাকিম বলেন, ফরিদা পারভীনকে এই দেশে চেনে না এমন কেউ আছে?
প্রশাসনের লোকজনও সবাই তাকে চেনেন, তাদেরও দায়িত্ব আছে বলে মনে করেন হাকিম।
“যদি এগিয়ে আসে, তাহলে তো ভালো। না এলে আমরা যতোদিন পারি চালাব, আর না পারলে হয়ত একসময় থেমে যেতে হবে।”
হতাশা প্রকাশ করে হাকিম বলেন, “১৮ কোটি মানুষ এক টাকা দিলেও তো এই প্রতিষ্ঠানের জন্য ফরিদা পারভীন, আব্দুল হাকিমকে ভিক্ষা করতে হয় না। আমাদের কারো কাছে চাইতে হয় না। ফরিদা পারভীন তো ভিক্ষা মাঙ্গা ফকির না। সমাজের, রাষ্ট্রের, জাতির যদি কিছু করণীয় থাকে তাহলে করবে। কারণ ফরিদা পারভীনের স্বপ্ন ব্যর্থ হলে সেটা শুধু তার নয়, লালন চর্চারই ইতি। অসুরের কাছে সুরের পরাজয় হবে সেটা।”
স্থায়ী ভবনের আকাঙ্ক্ষা
৭১ বছর বয়সী ফরিদা পারভীনের চাওয়া, তার ‘অচিন পাখি’ যেন থমকে না যায়। সেই চাওয়ায় ভাড়াবাড়িতে সংগীতের এই পাঠাশালা চালিয়ে নেওয়ার বদলে, একটি স্থায়ী ঠিকানা বড় প্রয়োজন বলে মনে করেন এই শিল্পী।
তিনি বলেন, "আমার স্বপ্ন ছিল অচিন পাখির মাধ্যমে আমার ছাত্র ছাত্রী বের হবে। লালন যে মানবতার কথা, সমাজ সংস্কারের কথা বলেছেন তা ছড়িয়ে যাবে। আমরা যদি অন্তত একটা স্থায়ী ঠিকানা পেতাম, তাহলে হয়ত আরও সাহস পেতাম বেঁচে থাকার। এই প্রতিষ্ঠানটি যুগ যুগ ধরে টিকে থাকুক এটাই চাওয়া।"
‘অচিন পাখিকে’ টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহায়তা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা।
গানের শিক্ষক মোহাম্মদ মারুফ হোসেন বলেন, ফরিদা আপাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে অচিন পাখিকে শক্ত হাতে ধরতে হবে।
“আমারা শুরু থেকে যারা এখানে আছি তাদের চেষ্টা তো আছেই, বাংলাদেশে অনেক জায়গা আছে, অনেক ভবন আছে, পরিত্যক্ত ভবন আছে। আমরা যদি সরকার থেকে একটা স্থায়ী ভবন পেতাম তাহলে আমাদের ভাড়া দেওয়ার ঝামেলাটা কমে যেত, আমাদের খরচ কমত। এই প্রতিষ্ঠানটি চালানোর জন্য অনিশ্চয়তায় থাকতে হত না।”
শিক্ষক ইদ্রিস আলীর কথায়ও উঠে এসেছে একই আকুতি। তিনি বলেছেন, এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে ব্যক্তি চেষ্টায় কোনো প্রতিষ্ঠান চালানো খুব কষ্টকর হয়ে যায়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই প্রতিষ্ঠান অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে।
তিনি বলেন, “দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর শাখা তৈরি হোক। ফরিদা পারভীন সারা পৃথিবীতে যেভাবে লালন সংগীতকে সমাদৃত করেছেন সেভাবে এই প্রতিষ্ঠানকেও ধরে রাখা সবার কর্তব্য।"