Published : 10 May 2025, 01:38 PM
মুস্তাফা জামান আব্বাসী জীবনভর কাটিয়েছেন গানের সঙ্গে; ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালী, দেহতত্ত্ব, মুর্শিদী, চটকা, মারফতী, বাউল, হাসনগীতিসহ গ্রামবাংলার নানা ঢঙের লোকগীতি শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে তার কণ্ঠে।
গবেষক হিসেবেও দেশীয় সংগীতের বিচিত্র্যের সন্ধান করে গেছেন মুস্তাফা জামান আব্বাসী। ইসলামি ও লোকধারার গান সংগ্রহ এবং তা জনপ্রিয় করতে কাজ করেছেন।
সুরকার, সংগ্রাহক, গবেষক ও লেখক মুস্তাফা জামান আব্বাসী চলে গেছেন শনিবার। প্রয়াণ দিনে তার গাওয়া কিছু গান তুলে ধরছে গ্লিটজ।
‘নীশিথে যাইও ফুল বনে রে ভ্রমরা’ গানটি দারুণভাবে পরিচিত হয়েছিল মুস্তাফা জামান আব্বাসীর কণ্ঠে। জসীম উদ্দীনের লেখা এই লোকগানটি গেয়েছিলেন তিনি।
‘ও কী ও বন্ধু কাজল ভ্রমরারে, কোন দিন আসিবেন বন্ধু কয়া যাও কয়া যাও রে' ভাওয়াইয়া গানটি শ্রোতাপ্রিয় হয়েছিল মুস্তাফা জামান আব্বাসীর কণ্ঠে।
‘আবো নওদারিটা মরিয়া মোর সে হইছে হানি’ একটি ‘চটকা গান’। দেড়শ বছরের বেশি সময় আগে এই গানটি সংগ্রহ করেছিলেন সে সময়ে রংপুর জেলার জেলা প্রশাসক জর্জ গ্রিয়ারসন। এক নারীর পিতৃগৃহে যাওয়ার আকুলতা ফুটিয়ে তোলা এই গানটিকে সামনে আসে মুস্তাফা জামান আব্বাসীর কণ্ঠে।
বহু ভাওয়াইয়া গানের মধ্যে “আয় মোর, জানিয়াও জানেন না, শুনিয়াও শুনেন না, ওরে জ্বলেয়া গেইলেন মনের আগুন, নিভায়া গেইলেন না” গানটি মুস্তাফা জামান আব্বাসী গেছেন আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের সংগীতায়োজনে।
ভাওয়াইয়া ও চটকার মিশ্রণে বাঁধা হয়েছে ‘ধীরে বোলাও গাড়ি রে গাড়িয়াল, আস্তে বোলাও গাড়ি’ গানটি। মুস্তাফা জামান আব্বাসীর কণ্ঠে গাওয়া গানে এক গাঁয়ের বধূর বাবার বাড়ি ছেড়ে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার সময়ের বেদনা মূর্ত হয়েছে।
জসীম উদ্দীনের ‘আরে ও রঙিলা নায়ের মাঝি, তুমি এই ঘাটে লাগায়ারে নাও’ গানটিও গেয়েছেন মুস্তাফা জামান আব্বাসী। গানে বাঁশি, একতারা, তবলার ব্যবহার রয়েছে।