Published : 06 Jun 2024, 07:52 PM
কোভিড-১৯ মহামারির মত বা জনস্বাস্থ্যে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে সে ঝুঁকি মোকাবেলায় নতুন বাজেটে এবার ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এ প্রস্তাব রাখেন।
নতুন অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। সেখানে স্বাস্থ্য খাতের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং জিডিপির ০.৭৪ শতাংশ।
বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে ৩৮ হাজার ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলে খরচ করতে না পারায় সংশোধিত বাজেটে তার পরিমাণ কমে ২৯ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা হয়। টাকার ওই পরিমাণ মোট সংশোধিত বাজেটের ৪.১৬ শতাংশ এবং জিডিপির ০.৫৮ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর থেকে প্রতি বছরই স্বাস্থ্যখাতে ঝুঁকি মোকাবেলায় বরাদ্দ রাখা হয়। এ বছরও রাখা হয়েছে।
“স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলার জন্য কোভিড অতিমারীর সময় থেকে সরকার বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে আসছে। এ বছরও আমরা এ খাতে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের প্রস্তাব করছি।”
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারী বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায়ও বড় ধাক্কা দেয়।
২০২০ সালে দেশে প্রথম কোভিড রোগী শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ২০ লাখ ১৭ হাজারের বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৫ জনের।
এখনও দেশে নতুন কোভিড রোগী শনাক্ত হচ্ছে এবং মাঝে মাঝে মৃত্যুর খবরও আসে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৭৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৩ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে।
২০২১-২০২২ অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতে ‘অপ্রত্যাশিত জরুরি ব্যয়’ মেটাতে ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছিল।