Published : 22 Oct 2023, 06:02 PM
দেশে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের বিনামূল্যে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের টিকা (এইচপিভি) দেওয়া শুরু হচ্ছে সোমবার।
এ দিন ঢাকার মহাখালীর নিপসম অডিটোরিয়ামে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুরুতে কয়েকজনকে পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা দেওয়া হবে। আর আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিভাগের সব জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় দেওয়া হবে এই প্রতিষেধক। তারপর সারাদেশের ১ কোটির বেশি কিশোরীকে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এস এম আবদুল্লাহ আল মুরাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এসব টিকা গ্যাভি থেকে বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়া হয়েছে। এই টিকা তৈরি করেছে গ্ল্যাক্সোস্মিথ ক্লেইন। সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিকাদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
“এরপর এটা সীমিত আকারে কয়েকজনের ওপর প্রয়োগ করে আমরা একটু বিরতি দেব। টিকাগ্রহীতাদের কোনো সমস্যা হয় কি না, আরেকটু পর্যবেক্ষণ করব। পরে ঢাকার বিভাগের বিভিন্ন জেলার ২০ লাখ কিশোরীকে এই টিকা দেওয়া হবে।”
ডা. আবদুল্লাহ জানান, আগামী বছরের এপ্রিলে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে এবং অগাস্টে বাকি পাঁচটি বিভাগে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে।
গ্যাভি থেকে এ পর্যন্ত ২৩ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি টিকা পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে এ টিকা দিয়ে ঢাকা বিভাগে কার্যক্রম চালানো হবে।
কার্যক্রম শুরুর পর ১৮দিন টিকা দেওয়া হবে। প্রথম ১০ দিন স্কুল ও স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে এ প্রতিষেধক। পরবর্তী ৮ দিন স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রে স্কুল বহির্ভূত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে।
এর আগে ২০১৬-২০১৭ সালে পাইলট প্রকল্প হিসেবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনসহ সেই জেলায় এইচপিভি টিকা দেওয়া হয়েছিল।
এইচপিভি টিকা নেওয়ার জন্য পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের নিবন্ধন করতে হবে। বর্তমানে শুধু ঢাকা বিভাগের কিশোরীরা নিবন্ধন করতে পারবেন।
নিবন্ধনের জন্য https://vaxepi.gov.bd/registration এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে। নিবন্ধন করতে প্রথমে নির্ধারিত ঘরে জন্ম তারিখ, মাস ও বছর দিতে হবে। টিকা প্রত্যাশীদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে। এরপর একটি ক্যাপচা কোড দিয়ে যাচাই করুন বাটন চাপলে জন্মনিবন্ধন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আসবে।
এরপর মোবাইল নম্বর, ই-মেইল আইডি, পাসপোর্ট নম্বর, বর্তমান ঠিকানার বিস্তারিত দিয়ে সাবমিট করতে হবে। এরপর নিবন্ধনের সময়ে যে মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে তাতে একটি ওটিপি আসবে। ওটিপি সঠিকভাবে দেওয়ার পর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হবে। নিবন্ধনের পর টিকা কার্ড সংগ্রহ করা যাবে, এই কার্ড নিয়ে নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের টিকা নেওয়া যাবে।
(প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)