Published : 19 Jun 2025, 07:10 PM
করোনাভাইরাস মহামারির দীর্ঘ বিরতির পর স্কুলে ফেরা হলেও টিকে থাকতে পারেনি সাজু নামের এক শিশু।
তার বাড়ি শেরপুরের সদর উপজেলার বেতমারা ঘুঘুরাকান্দি গ্রামে। সেখানে একটি স্কুলে পড়ত সে।
সাজু জানায়, তার মা হস্তশিল্পের কাজ করতেন আর বাবা ছিলেন দিনমজুর। কিন্তু মহামারির সময় সব বন্ধ হয়ে গেলে আয়-রোজগারের পথ হারিয়ে তারা চলে আসে ঢাকায়। এরপর মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় মহাখালীর সাততলা বস্তিতে।
সে আরও জানায়, তখন তার বয়স ছিল আট কিংবা নয়। করোনার প্রকোপ কমার পর ঢাকার একটি সরকারি প্রাথমিকে ভর্তি হলেও দুই বছরের মাথায় সেই স্কুলও ছেড়ে দেয় সে।
সাজু এখন তার বাবার সঙ্গে রিকশা চালায়। পড়াশোনার প্রতি তার আর কোনো টান নেই।
এর পেছনে কারণ কী জানতে চাইলে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সে বলে, “লেখাপড়া কইরা আর কয় টেকা পামু? রিকশা চালাইলে মাসে ১২-১৩ হাজার টেকা কামাই করা যায়।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: ঢাকা।