Published : 15 Jun 2025, 10:53 PM
ষড়ঋতুর দ্বিতীয় ঋতু বর্ষা। বাংলা বর্ষপঞ্জির আষাঢ় আর শ্রাবণ মাস নিয়ে বর্ষাঋতু। আজ পহেলা আষাঢ়।
গ্রীষ্মের খরতাপের পর বর্ষার ঠান্ডা বাতাস আর ঝুম বৃষ্টি প্রকৃতিতে এনে দেয় স্বস্তি। এই সময় আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। কখনও বিদ্যুৎ চমকায় আবার কখনও মেঘের গর্জনে চারদিক কেঁপে ওঠে। তারপর হঠাৎ ঝমঝম করে নামে বৃষ্টি।
এই বৃষ্টিতে মাঠ-ঘাট পানিতে ভরে যায়। নদী-নালা আর খাল-বিল টইটম্বুর হয়ে ওঠে। হাওর ও নিচু এলাকা চলে যায় পানির নিচে। আর বৃষ্টির ফাঁকে কখনও কখনও দেখা দেয় রংধনু।
বর্ষায় কৃষকেরা জমিতে ধান আর পাটের বীজ রোপণ করেন। গাছে ফোটে কদম, কেয়া আর জুঁই ফুল। পুকুরে ফোটে শাপলা। বাজারে পাওয়া যায় আনারস, পেয়ারা, আমড়া, কামরাঙ্গা আর লটকনসহ নানা টক-মিষ্টি ফল।
নতুন ঋতুর শুরুতে অনেকেই খুশি হন। তবে অতিবৃষ্টি হলে কৃষকের ক্ষতি হয়, ফসল নষ্ট হয়, রাস্তা-ঘাটে পানি জমে যায়, আর রোগজীবাণুও ছড়িয়ে পড়ে। তাই এই সময় শিশু ও বৃদ্ধসহ সবার জন্য সতর্কতা প্রয়োজন।
তবুও আমি বর্ষাকে ভালোবাসি। কারণ বর্ষা গ্রীষ্মের তীব্র তাপ থেকে প্রকৃতিকে রক্ষা করে আর সবকিছুকে করে তোলে সজীব আর প্রাণবন্ত।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: বাগেরহাট।