Published : 06 Jun 2015, 12:33 PM
তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আরবি পড়ান। আগে এ কাজের জন্য টাকা না নিতেন না। কিন্তু একমাত্র ছেলে অসুস্থ থাকায় এখন বাধ্য হয়েই তিনি টাকা নেন।
ছেলে এক সময় রিকশা চালাত বলে জানান তিনি। কিন্তু অসুস্থ বলে কাজ করতে পারে না। তাই সংসারের ভার তার ওপরই।
কোরআন শিক্ষার নামে অনেকে এখন হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। কিন্তু যে যা দেয় তিনি তাই নেন। নির্দিষ্ট কিছু দাবি করেন না কারো কাছে।
তিনি বলেন,"টাকা দিয়ে যদি আল্লাহকে পেতে হয় তবে তো গরিবরা আল্লাহকে পাবে না।
“আমি এটা বিশ্বাস করি বলেই এর বিনিময়ে টাকা নিতাম না।"
তাকে দেখতে, কথা বলতে গিয়েছিলাম তার বাড়ি। কথায় কথায় জানালেন, ১৯৬৮ সালের দিকে গ্রামের শিশু-কিশোরদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে আরবি পড়ানো শুরু করেন তিনি।
যাত্রা পথে তিন বছরের মাথায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এর ধকল কাটিয়ে উঠতে একটু সময় লাগে তার । তবে স্বাধীতার পর কাজ গেল বেড়ে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ল কয়েকগুণ। ১০-১৫টি গ্রামে তাকে ঘুরতে হত নিয়মিত।
বয়সের ভারে মানুষটি অনেকটা কুঁজো হয়ে গেছেন। তবু সব কিছু উপেক্ষা করে এখনও গ্রাম ঘুরে ঘুরে শিখিয়েই চলেছেন।
এখন তিনি ৪০ জনকে পড়ান বলে জানান। ফজরের নামাজ পড়ে বেরিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়ে। রোদ-বৃষ্টি-ঝড় যাই হোক তার কাজের বিরাম নাই।