Published : 02 Jun 2025, 03:28 PM
ঈদুল আজহার কয়েকদিন আগে ১৫ সংবাদকর্মীকে চাকুরিচ্যুত করেছে দৈনিক ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ।
গত ২৭ ও ২৮ মে দৈনিকটির মহাব্যবস্থাপক মো. আনিসুজ্জামানের সই করা আলাদা চিঠিতে বেতন-বোনাস বুঝিয়ে না দিয়েই তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
‘চাকরি অবসানের আদেশ’ বিষয়ক ওই চিঠিতে আগামী এক মাসের মধ্যে ‘বকেয়া পাওনা’ বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সদ্য চাকুরিচ্যুত ১৫ সংবাদকর্মীর মধ্যে রিপোর্টার, সিনিয়র সাব এডিটর, সাব এডিটর, সিনিয়র আর্টিস্ট, ফটো সাংবাদিক রয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওছার হোসেন বলেন, “২৭ মে ১০ জনকে ও ২৮ মে ৫ জনকে চিঠি দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।”
গত ঈদুল ফিতরের আগেও একযোগে ৪২ সংবাদকর্মীকে চাকুরিচ্যুত করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। যাদের পূর্ণ পাওনা এখনও পরিশোধ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন কাওছার হোসেন।
এবার চাকরিচ্যুতির আদেশের চিঠিতে বলা হয়েছে, “প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুসারে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ২৬ ধারা মোতাবেক আপনার চাকরির অবসান করা হচ্ছে যা অবিলম্বে কার্কর হবে।”
চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি একটি নোটিস টানিয়ে ৩৩ বছরের পুরনো এই সংবাদপত্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে জনবলের বড় একটি অংশ ছাঁটাই করে স্বল্প পরিসরে চলতে থাকে পত্রিকাটি।
বেতনভাতা সম্পূর্ণ পরিশোধ না হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে ছাঁটাই কর্মীরা আন্দোলন করছেন।
পত্রিকাটি বর্তমানে বিশেষ ব্যবস্থায় কয়েকশ কপি ছাপানোর মাধ্যমে সচল রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এর মধ্যে গেল মার্চে তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর এক চিঠিতে প্রচার সংখ্যায় কারচুপি ও প্রেস নিয়ে অসত্য তথ্য দেওয়ায় ভোরের কাগজের সরকারি মিডিয়া তালিকাভুক্তি বাতিল করে দেয়।
আরও পড়ুন
দৈনিক ভোরের কাগজের মিডিয়া তালিকাভুক্তি বাতিল
ভোরের কাগজ 'খুলে দিন', সাবেরের অফিসের সামনে কর্মীদের অবস্থান
ডিএফপির সামনে ভোরের কাগজ কর্মীদের মানববন্ধন
'ভোরের কাগজ' খুলে দিতে ২৪ ঘণ্টার হুঁশিয়ারি