Published : 03 Aug 2013, 10:36 AM
রাজধানীর শান্তিনগর বাজারকে 'গরিবের বাজার' বলা যাবে না। ২১তম রোজার দিনও এক ক্রেতা গিয়ে দেখেন, নির্ধারিত ২৭৫ টাকা কেজি দরে সেখানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। তিনি গরু-মহিষের মাংস দেখে চিনতে পারেন। বললেন, গরুর মাংসই দেখেছেন।
সেটি না কিনে তিনি অবশ্য কিনেছেন একটি মাংস প্রক্রিয়াজাতকারী কোম্পানির গরুর মাংস– ৩১০ টাকা কেজি দরে। বাসা থেকে তেমনটিই বলে দেওয়া হয়েছিল। বাজারের ভেতরেই ওই কোম্পানি একটি দোকান খুলেছে। এর কর্মীর কাছ থেকে জানতে পারলেন, সাধারণ মাংসের সঙ্গে দামের বড় ব্যবধান হওয়ায় তাদের বিক্রি কমে গেছে। কোম্পানি কর্মকর্তাদের তারা নাকি বলছেন দাম কমাতে।
কিছুটা বাড়তি দাম তারা নেবেন বৈকি। বিধিবদ্ধভাবে মাংস প্রক্রিয়াজাত করে নিজস্ব দোকানের মাধ্যমে বিক্রির বাড়তি ব্যয় তো রয়েছে। কিন্তু সেটি কতটা? বৃহদাকারে পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাত করা হলে ব্যয় কিছুটা কমেও আসে।
যাহোক, ওই কোম্পানি পরিবেশিত মাংসের দাম নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো উদ্দেশ্য নেই লেখকের। তার বদলে এটা তুলে ধরাই উদ্দেশ্য যে, রোজার শুরু থেকেই এবার আগের চেয়ে অন্তত ৫ টাকা কমে গোমাংস পাওয়া যাচ্ছে। খাসির মাংসও মিলছে ৪৫০ টাকা কেজি দরে।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বসে ঢাকা সিটি করপোরেশন এ দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল; যেমনটি প্রতিবারই দেওয়া হয়। এবার তা বাস্তবায়িত হতেও দেখা গেল। তবে রাজধানীর কাপ্তান বাজারের এক গোমাংস বিক্রেতা এ লেখককে বলেছেন, ২৫ রোজা পর্যন্ত তারা এ নিয়ম মানবেন। তারপর মাংস খেতে হবে ২৮০ টাকা দরেও নয়– ৩০০ টাকা দরে। লোকসান না হলেও তাদের নাকি লাভ হচ্ছে না এখন। ২৫ রোজার পর তারা এর বদলা নেবেন।
আমরা যে ধরনের অর্থনীতিতে রয়েছি, তাতে পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার বিরুদ্ধে জোরালো মত রয়েছে অর্থনীতিবিদদের। তারা এর খারাপ পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করে দিতে চান। তা সত্ত্বেও কিছু নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে বিশেষত রমজানে। ব্যবসায়ী সংগঠনকেও এ প্রক্রিয়ায় শামিল হতে দেখা যাচ্ছে।
আরেকটি বিষয় লক্ষ্যণীয়, রমজানে কাঁচাবাজারে বাড়ানো হচ্ছে মনিটরিং। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ তো করছেই, ব্যবসায়ী সংগঠনও মনিটর করছে বলে খবর পাওয়া যায়। কাপ্তান বাজারের ওই মাংস বিক্রেতার বক্তব্য ধরে এখন জানতে চাইব, ২৫-২৬ রোজা থেকে কি সব ধরনের মনিটরিং উঠে যাবে বাজার থেকে? হাত ঝেড়ে তারা কি বলবেন, যথেষ্ট হয়েছে?
গরু ও খাসির মাংসের দাম নিয়ে এ লেখার সূত্রপাত হলেও কিছুতেই ভুলে যাওয়া চলবে না, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এখনও এসব কিনে থাকেন মাঝেমধ্যে। মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষত গোমাংসের চাহিদা অবশ্য অনেক বেড়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে এর দামও মোটামুটি স্থিতিশীল– সরবরাহ পরিস্থিতি ভালো বলে। প্রতিবেশি দেশ থেকে আসা গরু দেদারসে জবাই হচ্ছে বলেই এর বাজার রয়েছে স্থিতিশীল।
চরম ভারতবিদ্বেষী লোকটিও চান না, এ সরবরাহ কোনো কারণে ব্যাহত হোক। হঠাৎ করে তো আমরা গরু-মহিষের উৎপাদন বাড়াতে পারব না। অগত্যা মাংসের দাম যাবে বেড়ে। স্বল্পমেয়াদে কোনো পণ্যের দাম সাধারণভাবে তার চাহিদা ও সরবরাহের ঘাত-প্রতিঘাতেই নির্ধারিত হয়। এর উৎপাদন বা আমদানি ব্যয়ও নির্ধারক ভূমিকা রাখতে পারে না অনেক সময়। যেমন, রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলে সঙ্গত-অসঙ্গত নানা কারণে উৎপাদন ব্যয় বেশি। তাই বলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা তো আর পারবেন না বাজারের চেয়ে বেশি দামে চিনি বেচতে।
বেসরকারি আমদানিকারক ও পরিশোধনকারীদের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে তারা নাকি চাইছিলেন দেশীয় বাজারে বিক্রির বদলে চিনি রফতানি করতে। তাদের আসলে উচিত কম ব্যয়ে উৎপাদনের ব্যবস্থা করা; সঙ্গে দৃষ্টি রাখা পণ্যের মানের দিকে। রমজানে চিনির দামও লাফিয়ে বেড়ে যেতে দেখা যায়। এ সময়ে বিপুলভাবে বাড়ে খেজুরের চাহিদা। যেভাবেই হোক, ইফতার সামগ্রী হিসেবে খেজুর ও জিলিপি জনপ্রিয় হয়েছে।
এ সময়ে শরবতেও কম চিনি ব্যবহৃত হচ্ছে না। কোমল পানীয়, জুস, সসের বর্ধিত উৎপাদনেও বেশি চিনি লাগছে। চিনির সব ধরনের ব্যবসায়ীই অনুযোগ করে বলছিলেন, এর দাম অনেক দিন ধরেই কম। তারপরও রমজানে চিনির দামে ঊর্ধ্বসীমা ঠিক করে দেয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। অনেকে অবশ্য বলছেন, বাজারে পণ্যটির যেমন জোগান ছিল তাতে এর দাম তেমন বাড়ত না। দাম নির্ধারণ করে নাকি ব্যবসায়ীদের উল্টো সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে।
যাহোক, সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে মনে হয় না বেশি লোক সন্দিহান হবেন। রোজার শুরুতে বাজারে চিনির দামে যেটুকু ঊর্ধ্বগতি দেখা গিয়েছিল, সেটি এর মধ্যে থিতু হয়ে এসেছে। সামনে ঈদবাজারে মাংসের দাম বাড়লেও চিনির দাম নতুন করে বাড়বে বলে মনে হয় না। এর মধ্যে খেজুরও চাহিদা হারাবে।
রমজানে কাঁচামরিচ, ধনেপাতা, শসা ও বেগুনের মতো জিনিসের দাম দ্বিগুণ কিংবা তারও বেশি হয়ে যাওয়ার প্রবণতা ঠেকাতে এগুলোর রফতানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এটা ক'বছর ধরেই করা হচ্ছে। তার সুফল মিলছে বৈকি। একগুচ্ছ কাঁচাপণ্যের চাহিদা দ্রুতগতিতে কয়েকগুণ বেড়ে গেলে কোনো বাজারই এর দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারে না।
যত দিন যাচ্ছে, মিডিয়ায় ব্যবসার খবর বেশি করে সরবরাহ করা হচ্ছে। এরও একটা বাজার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে হয়। এর মধ্যে আমরা জানতে পারছিলাম, ভারতে একই সময়ে বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। হিন্দুপ্রধান দেশ হলেও সেখানে মুসলমান তো কম নেই। তারাও কম রোজাদার নন। একই প্রকৃতির খাদ্যাভ্যাস রয়েছে বলে তাদের মধ্যেও বেড়েছে পেঁয়াজের চাহিদা। এ অবস্থায় আমরা কিছুটা দুর্ভাবনায় পড়েছিলাম ভেবে যে, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিলে আরও বেশি দামে এটি কিনতে বাধ্য হব কিনা।
এ সময়ে রসুনের চাহিদাও বেড়ে যায়। গৃহিণীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আমদানিকৃত রসুন। বড় সাইজের পেঁয়াজ-রসুন প্রসেস করতে সুবিধা। এদিকে দৃষ্টি দিয়ে আমাদেরও এখন ওই ধরনের পণ্য উৎপাদনে মনোযোগী হতে হবে। পেঁয়াজসহ মসলা উৎপাদন বাড়াতে এরই মধ্যে অবশ্য উদ্যোগী হয়েছে সরকার। কম সুদে এসব ক্ষেত্রে ব্যাংকঋণ জোগানোর নির্দেশনা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
মসলার উৎপাদন বাড়লে এর আমদানিতে কম বিদেশি মুদ্রা ব্যয় করতে হবে আমাদের। মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মসলার চাহিদাও বেড়ে উঠেছে সাধারণভাবে। রমজানে এর চাহিদা বেড়ে উঠতে শুরু করে; আর কিছুদিন পর যে কোরবানি ঈদ হবে, তখন এটি উঠবে তুঙ্গে। মসলার বাজার মোটামুটিভাবে আমদানিনির্ভর বলে দৃষ্টি রাখতে হবে এর আমদানিকারকদের কার্যক্রমের দিকে।
প্রতিবেশি দেশ, বিশেষত ভারত থেকে চোরাপথেও বিপুল পরিমাণ মসলা আসে। কর-শুল্কের বালাই নেই বলে সেগুলো দামে সস্তা। এবার রমজানে মসলার বাজারও গরম হয়নি নাকি এজন্য যে, আমদানি ও চোরাচালান দুই পরিস্থিতিই ভালো। মসলা আমদানিকারকরা অভিযোগ করছেন, চোরাচালানের কারণে তাদের লোকসান দিয়ে (আসলে হয়তো কম মুনাফায়) পণ্যসামগ্রী বেচতে হচ্ছে।
এ রমজানে শেষ পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হয়নি। তাহলে আরও দূরের দেশ থেকে বেশি ব্যয়ে পেঁয়াজ আনতে হত। সময়ও লাগত বেশি। ভারত থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কাঁচামরিচও আমরা আমদানি করেছি এ সময়ে। বেসরকারি খাত থেকে বলা হচ্ছিল, আমদানিসহ সরবরাহ প্রক্রিয়া সচল থাকলে বাজার অশান্ত হওয়ার কারণ নেই। সেটি অনেকটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাজারে।
রমজানে ছোলাসহ সব ধরনের ডাল ও ভোজ্যতেলের চাহিদা অনেক বেড়ে ওঠে বরাবর। দামও বেড়ে যায় অস্বাভাবিকভাবে। এবার সেটিও হল না। এর একটা বড় কারণ অবশ্য আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্যের দামে অনেক ক্ষেত্রেই নিম্নগতির প্রবণতা। অনেকে বরং অভিযোগ করছেন, আন্তর্জাতিক বাজার শান্ত হয়ে আসার সুফল পাচ্ছেন না দেশীয় ভোক্তারা।
রোজায় বেশি থাকলেও সারা বছরই দেশে থাকে ভোজ্যতেলের চাহিদা। আমদানিনির্ভর এ পণ্যের মাত্র কয়েকজন আমদানিকারক যোগসাজশ করে ভোজ্যতেলের দাম কমতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ সরকারও উড়িয়ে দেয় না। আমদানি, পরিশোধন ব্যয় প্রভৃতি বিবেচনায় এর দামও এবার বেঁধে দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ভোজ্যতেলের দাম কিছুটা কমিয়ে নির্ধারণ করা হলেও ব্যবসায়ীদের তেমন আপত্তি করতে দেখা গেল না।
সয়াবিন ও পামঅয়েল উৎপাদন এবং এর দরদামের যেসব খবর মিলছে আমেরিকা ও মালয়েশিয়া থেকে, তাতে মনে হয় এর দাম আরও কমতে পারে। একটির দাম কমলে আবার অন্যটির ওপর পড়বে ইতিবাচক প্রভাব। দেশে সরিষার তেলই কিছু উৎপাদন করে থাকি আমরা। রমজানে এর চাহিদাও বাড়ে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিত্তবানরা অলিভ, কর্ন ও রাইস ব্রান অয়েল খেতেও শুরু করেছেন। এগুলোর দাম নিয়ে সরকারকে বেশি মাথা না ঘামালেও চলবে।
ডিমের দাম রমজানে বরাবরই কিছুটা কমে। এ সময়ে নাস্তা ও বেকারিতে কম চাহিদা থাকে ডিমের। উৎপাদন তো আর কমে না। এটা গরিবের জন্য সুখবর। ব্রয়লার মুরগির দামও সেভাবে বাড়েনি রমজানে। গ্রাম পর্যন্ত নিম্নবিত্তরা এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ব্রয়লারের উৎপাদনকে শুধু নিরাপদ করতে পারছি না আমরা। কিছুদিন পরপর মড়ক লাগছে খামারগুলোয়; আর সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারছেন না ক্ষুদে উদ্যোক্তারা।
সে দিক থেকে মাছচাষীদের ঝুঁকি কম। মিয়ানমার, ভারত থেকে মাছ আমদানি কম হচ্ছে না। সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ বেড়েছে; সঙ্গে দাম। ইলিশ রফতানি সেই যে বন্ধ হয়েছিল, তা আর প্রত্যাহার করা হয়নি। নইলে এ সময়ে শখ করে ইলিশ খাওয়াও কঠিন হয়ে পড়ত। ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর প্রচেষ্টায়ও কিছু সুফল মিলছে।
একটা সময় ছিল, যখন বাজারে ইলিশ উঠলে অন্যান্য মাছের চাহিদা ও দাম কমে যেত। সেই দিন গত হয়েছে।
আমাদের এখন নির্ভর করতে হচ্ছে আমদানিকৃত ও চাষের মাছের ওপর। তা নিয়ে বাড়তি অভিযোগ উঠতে দেখছি না এ রমজানে।
কোনো কোনোবার রোজায় চাল ও আটা-ময়দার দাম বেড়ে যেতে দেখা যায়। সেটি হয় সর্বনাশা। বেশ কয়েক মৌসুম ধরেই দেশে ধান-চালের উৎপাদন, মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি ভালো। চাল আমদানির ধারা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি বলা যায়। এতে চালের বাজার স্থিতিশীলও হয়ে এসেছে। সমস্যা বরং দেখা দিয়েছে অন্য দিকে। ধান-চালের উৎপাদন ব্যয় গেছে বেড়ে এবং এর পাশাপাশি চাষীরা উৎসাহজনক দাম পাচ্ছেন না।
শহুরে লোকজন তো কেবল কম দামে চাল খেতে চাই আর তা দিয়ে বিচার করি সরকারকে। নির্বাচনে তেমন প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়!
যাহোক, চালের দামে ঊর্ধ্বগতির খবর নেই রমজানে। এটা তাদের জন্য বড় সুখবর, যাদের আয়ের সিংহভাগ চলে যায় চাল কিনতে। সেহেরি-ইফতারেও তাদের প্রধান খাদ্যসামগ্রী কিন্তু ভাত। এদের পাতে ভাতের সঙ্গে ভালো কিছু জোগাতে হলে বিপুল এ জনগোষ্ঠীর আয় বাড়াতে হবে।
চালের দাম কমিয়ে সে লক্ষ্য অর্জন করা যাবে না। খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে চলতি আমন মৌসুমের দিকে অবশ্য রাখতে হবে দৃষ্টি। বৃষ্টিপাত এবার কম হচ্ছে দেশে। তাতে গরম বেড়েছে; রোজাদারের কষ্টও। যাদের হাতে বেশ পয়সাকড়ি আছে, রোজার শুরুতে তারা একসঙ্গে অনেক পণ্যসামগ্রী কিনে ঘরে না তুললে মনে হয় তখনও শান্ত থাকত পণ্যবাজার। ওই সময়ে সাধারণ রোজাদারদের কষ্টও কমত তাহলে।
এ রমজানে সরকার যে টিসিবিকে খুব সক্রিয় করে তুলেছিল, তাও বলা যাবে না। তা সত্ত্বেও নিত্যপণ্যের বাজার তেতে উঠল না কেন, এর ভালো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ হওয়া দরকার। এটা আমাদের কিছুটা হলেও পথ দেখাবে।
সরকার খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি আরও কমিয়ে আনতে চাচ্ছে। সে লক্ষ্য অর্জনেও এটি হবে সহায়ক।
হাসান মামুন : সাংবাদিক