Published : 04 Jun 2025, 11:38 AM
মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার যে পরিস্থিতিতে দেশের দায়িত্ব নিয়েছে, সেটা বিবেচনায় নিয়েই তাদের বাজেটের ওপর আলোচনা করা উচিত। তারা দলীয় রাজনৈতিক সরকার নয়; আগেকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারও নয়। তাদেরকে বলা হচ্ছে ‘অন্তর্বর্তী সরকার’। এ সরকার আবার এক-এগারোর অন্তর্বর্তী সরকারের মতোও নয়। দুইয়ের প্রেক্ষাপট আলাদা; চরিত্রও পৃথক। গণঅভ্যুত্থানে যে দলটি কার্যত পলাতক, তাদের বাদ দিলে আর যেসব রাজনৈতিক দল থাকে– ইউনূস সরকার হলো তাদের সরকার। অন্তত তাত্ত্বিকভাবে।
সে কারণেই এ সরকারের উচিত ছিল বাজেট প্রদানের আগে অন্তত তাদের মনোনয়ন দানকারী দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে নেওয়া। সেটা হয়নি। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলগুলোও দাবি করে বলেনি, তাদের মনোভাব জেনেই বাজেট প্রণয়নে হাত দিতে হবে। বাজেট পেশের পর অবশ্য তারা কথা বলতে শুরু করেছে।
এখন যেহেতু সংসদ নেই, তাই ‘বিশেষ পরিস্থিতি’তে আগে যেভাবে বাজেট দেওয়া হতো, সেভাবেই কাজটা হয়েছে। এতে তেমন কোনো সমস্যা অবশ্য নেই। আমরা জানি, সংসদ থাকাকালে বাজেট অধিবেশনে কী মানের আলোচনা হতো। একটা সময় পর থেকে তো সংসদে সত্যিকারের বিরোধী দলও ছিল না। বিরোধী দল নিজেও বুঝতে পারতো না– তারা সরকারি না বিরোধী দল!
সেইসব দিন গত হয়েছে। এ আশাতেই এখন থাকব যে, কোনো অবস্থাতেই সেইসব দিন আর ফিরে আসবে না। আশা করব, দ্রুতই নির্বাচন হবে এবং সেটা ‘নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন’ হবে না। কেননা এতে ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ জন্ম নিয়ে থাকে। এ আশাও করব, ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা ‘অর্থবিল’ পাসে একতাবদ্ধ থাকলেও অর্থবহ বাজেট আলোচনায় অংশ নেবেন। বিরোধী দলও যুক্তিপূর্ণভাবে বাজেটের নানা দিক নিয়ে মত দেবে।
কথা হলো, সেটি ঘটার আগে কী হবে? সংসদের অনুপস্থিতিতে যে বাজেট দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে মানসম্মত আলোচনা কি হবে রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট মহলে? ব্যবসায়ীসহ যাদের নিজস্ব ফোরাম আছে, তারা তো নিজ স্বার্থেই কথাবার্তা বলবেন। দেন-দরবারও করবেন। দলীয় রাজনৈতিক সরকার থাকাকালেও এসব ঘটে থাকে। বিভিন্ন ব্যবসায়ী মহলের অঘোষিত প্রতিনিধি হিসেবেও কিছু সংসদ সদস্য কাজ করেন।
সংসদে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের ভেতর থেকে উঠে আসাটাও বেড়েছে অনেক। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সেটা মেনেও নিয়েছে। সেইসব দলের একটি অবশ্য এ মুহূর্তে দেশে প্রায় অনুপস্থিত। তাদের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ। এ অবস্থায় যারা মাঠে রয়েছে, তাদের মধ্যে যে দলটির নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল, তারা পেশকৃত বাজেট নিয়ে কী ভাবছে– এটা সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বক্তব্য এ কারণেও গুরুত্বপূর্ণ যে, চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের বড় অংশীজন সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রত্যাশার কথা সবার জানা।
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে আলোচ্য বাজেটের ৫০ শতাংশ বাস্তবায়ন করবে নতুন নির্বাচিত সরকার। সেই সরকার কি এটাকে নির্দ্বিধায় নিয়ে বাস্তবায়ন করবে? এমনিতেও ছ’মাস পর একই সরকারকে বলা হয় বাজেট ‘পর্যালোচনা’ করতে। তিন মাস পরপরও এটা করতে বলা হচ্ছে। এতে বাজেট পরিশুদ্ধ হয়ে ভালোভাবে বাস্তবায়িত হওয়ার সুযোগ বাড়ে।
আর নতুন সরকার এলে তো স্বভাবতই চাইবে অন্যের দেওয়া বাজেটটির নিবিড় পর্যালোচনা করতে। এর আগে এক-এগারো সরকারের দেওয়া দ্বিতীয় বাজেট নিয়ে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ফখরুদ্দীন সরকারের দেওয়া বাজেট বাস্তবায়ন করেছিল অর্থবছরের বাকি ছ’মাসে। একথা অবশ্য ঠিক, প্রচলিত কাঠামোয় বাজেট দেওয়া হলে উত্তরাধিকার সূত্রে সেটার বাস্তবায়নে বিশেষ সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ তেমন বাজেট দিয়ে থাকলে এবং নতুন সরকারকে তার অর্ধেকটা বাস্তবায়ন করতে হলে সেটাই হওয়ার কথা। তবে পরবর্তী বছরের জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার থাকলে পুরো অর্থবছরই তারা পাবে। বাজেটের পুরোটা সেক্ষেত্রে তাদের হাতেই বাস্তবায়িত হবে।
এমনও ঘটতে পারে, আগামী রমজানের আগে নির্বাচন হয়ে ঈদের আগে ক্ষমতা হস্তান্তর হলো। সেক্ষেত্রেও ২০২৫-২৬ অর্থবছরের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করতে হবে নবনির্বাচিত সরকারকে। অর্থবছরের ওই সময়ে, বিশেষত শেষ প্রান্তিকে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর তোড়জোর শুরু হয়। এডিপি বাস্তবায়নের গতিও বাড়ে। রাজস্ব আহরণ ভালো নয় আর সেজন্য এর লক্ষ্যমাত্রা কমানো হচ্ছে– এমন সব খবর তখন প্রচার হতে থাকে। এডিপি বাস্তবায়ন পরিস্থিতি কেন ভালো নয়, সে খবরও আসতে থাকে। শংকা জাগে শেষতক বাজেটের কতটা বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে।
অনেক বছর ধরে আমাদের বাজেট বাস্তবায়ন পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়; যদিও বড় বড় বাজেট দেওয়া হচ্ছে এবং সৃষ্টি হচ্ছে রেকর্ড। অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেটটি অবশ্য সে দিক থেকে ব্যতিক্রম। এটা হাসিনা সরকারের দেওয়া সর্বশেষ বাজেটের চাইতে কিছুটা হলেও ছোট। তবে চলতি বাজেট ‘সংশোধন’ করে যে আকার দেওয়া হয়েছিল, এটা তার চাইতে বড়। পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজেটটি আরও ছোট হতে পারতো বলেও অনেকে মনে করছেন। এও বলা হচ্ছে, বাজেট সংশোধনের সুযোগ তো রয়েই গেছে। থাকুক না কিছুটা উচ্চাভিলাষ!
অর্থ উপদেষ্টা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, একটা বাস্তবসম্মত বাজেট দেওয়া হয়েছে। এতে বিপ্লবাত্মক কিছু করতে চাওয়া হয়নি বলেই দাবি তাদের। বিপ্লবাত্মক কিছু হোক, তেমন প্রত্যাশা কোনো কোনো মহলের ছিল অবশ্য। গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় নতুন কিছু হবে, এমন প্রত্যাশাও ছিল। প্রচলিত কাঠামোর বাইরে এসে বাজেটে কিছু করা হবে, অন্তত কিছু ‘ফুটপ্রিন্ট’ রাখা হবে বলে অনেকেই ছিলেন আশাবাদী। অর্থ উপদেষ্টাও শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন। বাজেটে এর সুযোগ একেবারেই ছিল না, তাও বলা যায় না। বাজেট প্রণয়নকারীরা সেটা নিতে চাননি বলেই মনে হচ্ছে।
সরকার অনেক সংস্কার কমিশন গঠন করলেও অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন কেন করেনি, এর সদুত্তর নেই। শ্বেতপত্র প্রণয়নসহ তারা যেসব কমিটি, টাস্কফোর্স গঠন করে সুপারিশ পেয়েছিলেন– তারও কতখানি বাস্তবায়নের প্রয়াস বাজেটে রয়েছে, সে প্রশ্ন উঠেছে। সংবাদপত্রে খবর বেরোয়, বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন– ওইসব সুপারিশ আমলে নেওয়ার ‘সুযোগ’ তেমন নেই। তখনই বোঝা গিয়েছিল, পুরনো কাঠামো মেনে প্রণীত একটা বাজেটই আসতে যাচ্ছে। বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে দু’জন সিনিয়র উপদেষ্টা এমন একটি বাজেট প্রণয়নের প্রেক্ষাপটই বর্ণনা করেছেন।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা তো খোলাসা করেই বলেছেন, কেন তারা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া হাজারের অধিক প্রকল্প নিয়ে সংকটে আছেন। তার বর্ণনা উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে হাবুডুবু খাওয়ার মতোই। বেশ কিছু প্রকল্প অপ্রয়োজনীয় বা প্রায় অপ্রয়োজনীয় মনে হলেও এর কাজ শেষ করতে হচ্ছে। তিনি জানাচ্ছেন, এসব অর্থ স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো খাতে ব্যয় করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু তারা অসহায়। হাজারের বেশি প্রকল্পের মধ্যে ২০-৩০টি কেবল নতুন এবং এগুলোও আগে থেকে নথিভুক্ত। তারা যে ‘হঠাৎ করে এক বা দেড় বছরের জন্য’ এসেছেন এবং ক্ষমতা না নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন, সেটাও স্পষ্ট করে বললেন। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তা কতটা সুষ্ঠুভাবে পালিত হচ্ছে, সে প্রশ্ন করার অধিকার নিশ্চয়ই আছে নাগরিকদের।
যথেষ্ট দায়িত্ববোধের সঙ্গে বাজেট করা হলেও বর্তমান পরিস্থিতির সীমাবদ্ধতা অবশ্য কারও পক্ষেই অতিক্রম করা সম্ভব নয়। বিগত সরকার যে জায়গায় অর্থনীতিকে রেখে গেছে এবং গণঅভ্যুত্থানের পর এক্ষেত্রে নতুন যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার মধ্যেই বাজেট দিতে হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারকে। তার আগে চলতি অর্থবছরটি সরকার কীভাবে পার করছে, সেটাও লক্ষণীয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অর্থনীতি গতি হারিয়েছে আরও; প্রবৃদ্ধি কমে গেছে প্রায় সব খাতে। অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণেও এমনটা ঘটেছে। প্রকল্প পরিচালক ও ঠিকাদারদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে ৫ আগস্ট পরবর্তীকালে। তারপরও দীর্ঘদিনে গতি আনা যায়নি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে। এদিকে কৃষির ওপর দিয়ে গেছে আকস্মিক বন্যা। চাল আমদানিতেও নামতে হয়েছে সরকারকে। দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতি রোধ করা যায়নি। এর মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার চেষ্টা করে যেতে হয়েছে সরকারকে। ভেঙে পড়া ব্যাংক খাত সামলানোর পাশাপাশি এতে কম সাফল্য নেই নতুন গভর্নরের। তিনি আশাবাদী, আগামী অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সহনীয় করে আনা যাবে।
যে বাজেট দেওয়া হয়েছে, তাতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমানো গেলেও প্রবৃদ্ধি খুব একটা বাড়ানো যাবে না। উন্নয়ন সহযোগীরাও একই কথা বলছে। বাজেটের আগ দিয়ে আইএমএফের ঋণের কিস্তি লাভের ঘটনায় অবশ্য স্বস্তি পেয়েছে সরকার। বাজেটে তারা বেশি ঋণ গ্রহণের পরিকল্পনা করেছেন। এর মধ্যে দায়দেনা ভালোই পরিশোধ করতে পেরেছেন তারা। রিজার্ভ পরিস্থিতিও স্বস্তিকর করে আনতে পারছেন। ডলারের দামকে বাজারের ওপর ছাড়ার হিম্মত দেখাচ্ছেন। তারপরও এর দাম স্থিতিশীল থাকার অবশ্য নানা কারণ রয়েছে। এতে আমদানিতে সুবিধা পাচ্ছি আমরা। বিনিয়োগ কম বলে আমদানির চাহিদা অবশ্য তেমন বাড়ছে না। আন্তর্জাতিক বাজার নিম্নমুখি থাকাটাও আমাদের মতো আমদানিনির্ভর দেশের জন্য ইতিবাচক। বাজেটে কর-শুল্ক পুনঃবিন্যাস করতে তেমন বেগ পেতে হচ্ছে না। অবশ্য অর্থনীতি একই রকম গতিহীন থাকলে রাজস্ব আহরণের অবস্থা কী দাঁড়াবে, বলা কঠিন। এনবিআরে আবার চলছে অস্থিরতা। সেটা দূর হলেও সংস্থাটির পক্ষে পাঁচ লাখ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ অসম্ভব মনে হচ্ছে।
ইতোমধ্যে নেওয়া ঋণের সুদ বাবদ অনেক ব্যয় করতে হবে সরকারকে। জনপ্রশাসন পরিচালনার ব্যয়ও বাড়ছে। তাদের আবার জোগানো হচ্ছে বিশেষ ভাতা। বেসরকারি খাতের জন্য যে সেটা বৈষম্যমূলক, তা ভাবার ফুরসত নেই যেন। বেসরকারি খাতে কর্মহীনতা আরও বাড়ে কিনা, সেটাই বা কে বলবে! কর্মসংস্থানের দাবি ঘিরেই কিন্তু দানা বেঁধে উঠেছিল গণঅভ্যুত্থান। সেটা বাড়ানোর ‘দিকনির্দেশনা’ অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেটে নেই বলে সমালোচনাই এখন বেশি। পরিস্থিতি এমন যে, ব্যাংকে নগদ অর্থ থাকলেও উচ্চ সুদে ঋণ না নেওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে ব্যক্তি খাতে। তাদের গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যাও তীব্র। অগত্যা এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। তাতে গ্যাস সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও স্বস্তি আসবে না শিল্পে। আর বিশেষ করে নতুন উদ্যোক্তারা চাইবেন স্থিতিশীল পরিবেশ ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারই কেবল সেটা দিতে পারে।
ভালো হতো– অন্তর্বর্তী সরকার নতুন বাজেট দেওয়ার আগেই নির্বাচন করে নতুন সরকারের হাতে দায়িত্বভার তুলে দিতে পারলে। তাহলে পুরনো বাজেট বাস্তবায়ন করেই তারা বিদায় নিতে পারতেন। তাদের এখন অভিযুক্ত হতে হচ্ছে গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় বাজেট দিতে পারেননি বলে। বাজেটে সংস্কার সুপারিশের প্রতিফলন কিংবা তেমন ফুটপ্রিন্ট নেই বলে। বাস্তবতা হলো, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে কাজ চালানোর মতো একটা বাজেট দেওয়াও কঠিন। সেটা বাস্তবায়ন করা তো আরও।
সব পক্ষকে মোটামুটি সন্তুষ্ট রেখে মধ্যপন্থা অবলম্বন করেই তারা চলতে চাইবেন, এটা পরিষ্কার। দ্রুত নির্বাচন হলে অন্য খাত থেকে অর্থ এনেও ইসির বরাদ্দ বাড়াতে হবে। চলতি অর্থবছর ফুরাবে জুন শেষ হলে। তখন আরও স্পষ্ট হবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। এতে গতি সঞ্চার করা কঠিন। অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করে আনা গেলেও আমরা বাহবা দেব সরকারকে। পরিস্থিতি এমনই!