Published : 18 May 2025, 07:47 PM
‘নতুন বন্দোবস্ত’ বয়ানটি দেশের মানুষের কাছে মোটামুটি জনপ্রিয় করতে পারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এর তাত্ত্বিক নেতাদের একটি বড় সফলতা। এখন ওই নেতাদেরই নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং তারাও রাষ্ট্র সংস্কার করে ‘নতুন বন্দোবস্তের’ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন।
কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্য অনেক রাজনৈতিক দল, সংবাদমাধ্যম, ছাত্র ও সুশীল সমাজের সদস্যরা ‘নতুন বন্দোবস্ত’ শব্দবন্ধটি হরহামেশাই ব্যবহার করছে। আগে থেকে বলা হলেও মূলত শেখ হাসিনার দেশত্যাগের আগের দিন ৪ অগাস্ট থেকে মার্চ-টু-ঢাকা কর্মসূচির ঘোষণার সময় থেকেই শব্দটি মানুষের সামনে ব্যাপকভাবে আসতে শুরু করে।
কি এই ‘নতুন বন্দোবস্ত’? সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য এই বয়ান সম্পর্কে এনসিপি নেতাদের বক্তব্যের মোদ্দা কথা হলো, তারা নতুন প্রজাতন্ত্র (রিপাবলিক) চান, যেখানে সংবিধান থেকে শুরু করে সবকিছুই নতুন করে তৈরি করা হবে।
আলী রীয়াজের নেতৃত্বে গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সঙ্গে এনসিপির মৌলিক ধারণার মিল রয়েছে বলা যায়। ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও সরকার বিভাগের এই অধ্যাপকের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী ‘নতুন বন্দোবস্তের’ মাধ্যমে দেশের সংবিধানের খোলনলচে পাল্টে যাবে। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ বদলে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করতে হবে এবং সংবিধানের সকল ক্ষেত্রে বর্তমান শব্দ ‘প্রজাতন্ত্র’ পরিবর্তিত হয়ে ‘নাগরিকতন্ত্র’ ব্যবহার করতে হবে।
কেন ‘নাগরিকতন্ত্র’? সেটি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেওয়াই এই নিবন্ধের লক্ষ্য।
সংবিধান সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন যেভাবে রাষ্ট্র সংস্কারের সুপারিশ প্রস্তুত করেছে তাতে ‘নতুন বন্দোবস্তের’ বাংলাদেশে হয়তো অনির্বাচিত ‘নাগরিক সমাজ’ ও সুশীল সমাজের সদস্যদের সাংবিধানিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে। যেখানে তারা কারও কাছে জবাবদিহি করবেন না। কিন্তু ক্ষমতার মূল চাবিকাঠি থাকবে তাদের হাতে। অন্যদিকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যাবতীয় জবাবদিহিতার মধ্যে থাকবেন, দোষের ভাগী হবেন এবং জনগণের সকল গালমন্দ সহ্য করতে বাধ্য হবেন।
কিভাবে? নির্বাচন কমিশন দিয়েই শুরু করা যাক। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, পক্ষপাতহীন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের। বর্তমানে সেখানে প্রজাতন্ত্রের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার হিসাবে নিয়োগ পেয়ে থাকেন।
নির্বাচন কমিশন গঠনে ‘নির্বাচন কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর একটি খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইন অনুসারে, নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে “রাজনৈতিক মতৈক্যের ভিত্তিতে নাগরিক সমাজের অর্থবহ অংশগ্রহনের মাধ্যমে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে যোগ্য ও সুনামধন্য ব্যক্তিদের নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের” সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। বাস্তবায়িত হলে নাগরিক সমাজের সদস্যরা হয়তো নির্বাচন কমিশনের সদস্য হবেন।
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসছে। এখানেও নাগরিক সমাজের ভূমিকা থাকবে।
সংবিধান সংস্কার কমিশন বলছে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য নয় সদস্যের জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন করতে হবে। এই এনসিসি গঠিত হলে, সেখানকার সাত সদস্যের সমর্থনে একজন ‘গ্রহণযোগ্য’ নাগরিককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি ২০-সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করবেন। নাগরিক সমাজের কাউকে না পাওয়া গেলে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারকদের মধ্যে থেকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করা হবে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ, “স্থায়ী জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠিত না হলে সকল রাজনৈতিক দল, বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজ ও সমাজের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি রূপরেখা প্রণয়ন করা এবং ক্ষমতাসীন দল কর্তৃক তা সংসদে পাশ ও বাস্তবায়ন” করতে হবে।
কমিশন বলছে, রুটিন কাজ ছাড়াও এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চার মাস ক্ষমতায় থাকবে এবং ‘সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য’ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন ও বিধিবিধানের সংস্কার এবং প্রশাসনিক রদবদলের ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।
এবার আসা যাক, আইনসভায়। সংবিধান সংস্কার কমিশন দেশে দুই-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা সৃষ্টির সুপারিশ করেছে। নিম্নকক্ষের সদস্যরা বর্তমান ব্যবস্থার মতো একক নির্বাচনি আসন থেকে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে।
তবে উচ্চকক্ষের মোট ১০৫ আসনের মধ্যে ১০০ আসন নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে বিভিন্ন দলগুলোর মনোনয়নের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। তবে এখানে দলগুলো সব কয়টি আসনে দলীয় সদস্যদের মনোনয়ন দিতে পারবে না।
একটি দল উচ্চকক্ষের ১০টি আসন পেলে এর মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ অর্থাৎ পাঁচটি মনোনয়ন দিতে হবে দলীয় সদস্যদের মধ্যে থেকে এবং বাকি ৫০ ভাগ অর্থাৎ অন্য পাঁচজনকে হতে হবে নির্দলীয়। নির্দলীয় সদস্যদের “নাগরিক সমাজ, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, মানবসেবা প্রদানকারী, শ্রমজীবীদের প্রতিনিধি, নারী উন্নয়নকর্মী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ইত্যাদির মধ্যে থেকে সংখ্যানুপাতিকভাবে নির্বাচিত করার বিধান” করতে হবে।
সংবিধান সংস্কার কমিশন বলছে, উচ্চকক্ষের বাকি পাঁচজন সদস্য নাগরিকদের মধ্যে থেকে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত হবেন।
উপর্যুক্ত যেসকল দল-নিরপেক্ষ গ্রুপের কথা বলা হয়েছে তারা সবাই মোটা দাগে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের অংশ হিসাবে পরিচিত।
বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের কোন সংজ্ঞা নেই। বেসরকারি সংস্থায় কাজ করলে, পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করলে, টেলিভিশনের টকশোতে রাজনৈতিক সরকার এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেই তাদেরকে নাগরিক সমাজের অংশ বলে ধরে নেওয়া হয়।
দুঃখজনক হলো, এই সকল নাগরিক সমাজের সদস্যদের অধিকাংশই লেখাপড়া জানা সমাজের উচ্চ অংশের মানুষ। দেশের আপামর জনসাধারণের সঙ্গে তাদের অনেকেরই সম্পৃক্ততা নেই বললেই চলে। রাজনীতি করেন না। ওনারা ভোট করলে ভোট পান না। জামানত বাজেয়াপ্ত হয় সেই উদাহরণও রয়েছে।
এই বিবেচনায় ১০৫ আসনের উচ্চকক্ষের ৫৫ জন হবেন নাগরিক সমাজ ও সুশীল সমাজের সদস্য।
যেহেতু তারা দল নিরপেক্ষ সেহেতু তারা নাগরিক সমাজের পরিচিতিকেই প্রাধান্য দেবেন; দলীয় পরিচয় নয়। আইনসভায় দলের পক্ষে ভোট দেওয়ার কোন বাধ্যবাধকতা না থাকায় তারা উচ্চকক্ষের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ থাকবে নাগরিক সমাজের।
এই সকল অনির্বাচিত নাগরিক সমাজের সদস্যরা বাংলাদেশে হয়ত একটি এলিটতন্ত্র কায়েম করবেন। কিন্তু তাদের ঠেকানোর কোন সাংবিধানিক ব্যবস্থা থাকবে না। এভাবে একসময় রাজনৈতিক ব্যবস্থার মতো নাগরিক সমাজেও পরিবারতন্ত্র কায়েম হতে পারে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন আরও বলেছে, “সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থার কার্যনির্বাহী পদে আসীন ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ওই পদ থেকে তিন বছর আগে অবসর গ্রহণসংক্রান্ত আরপিও’র ধারা বাতিল করতে হবে।” কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারসহ অনেকেই দেশ-বিদেশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে জড়িত। এই সুপারিশ স্বার্থের সংঘাত।
প্রশ্ন আসে উচ্চকক্ষে নিয়ন্ত্রণে অসুবিধা কোথায়? অসুবিধা আছে। সংবিধান সংশোধনে নিম্নকক্ষ এবং উচ্চকক্ষ দুই হাউজেই দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন দরকার হবে বলে সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। অর্থাৎ নাগরিক সমাজের সমর্থন ছাড়া কোনভাবেই সংবিধান সংশোধন করা যাবে না।
এছাড়া ‘রাষ্ট্রদ্রোহ, গুরুতর অসদাচরণ বা সংবিধান লঙ্ঘনের’ জন্য রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসনের জন্য নিম্নকক্ষ থেকে প্রক্রিয়া শুরু হলেও উচ্চকক্ষের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন হবে। সুতরাং, রাষ্ট্রপতি ও নাগরিক সমাজের একটি সম্পর্ক স্থাপিত হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন গঠন করার প্রস্তাব করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। পাঁচ সদস্যের এই কমিশনেও একজন নাগরিক এর সদস্য হিসাবে নিয়োগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি সংসদের উচ্চকক্ষ কর্তৃক মনোনীত হবেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার কমিশন বলেছে, “দল নিরপেক্ষ, সৎ, যোগ্য ও সুনামসম্পন্ন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান” করতে হবে। দল নিরপক্ষে অর্থ, নাগরিক সমাজের সদস্য বললে কি খুব ভুল হবে? অর্থাৎ নাগরিক সমাজের কোন সদস্য অথবা ব্যবসায়ী রাষ্ট্রপতি হয়ে যেতে পারেন।
সংবিধান সংস্কার কমিশন বলছে, প্রধানমন্ত্রীর একছত্র ক্ষমতা খর্ব করে তার একটি অংশ রাষ্ট্রপতিকে দিতে হবে। এজন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) যার সভা আহ্বান করবেন ‘মৌলিক গণতন্ত্রের আদলে’ পরোক্ষভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি।
ফলে বাংলাদেশ রাজনৈতিক স্বৈরতন্ত্র থেকে নাগরিক ও অনির্বাচিত স্বৈরতন্ত্রের হাতে পড়ে যেতে পারে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, নাগরিক সমাজের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভাগ চায়। সেটি তারা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে চান না বলেই হয়ত সাংবিধানিকভাবে সংবিধানের বিভিন্ন স্থানে তাদের জন্য কোটা রাখার সুপারিশ করা হয়েছে যা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মূল চেতনা-বিরোধী।
যদি হয় তাহলে সেটি হবে দুঃখজনক। এবং পরিণাম হবে ভয়াবহ। সমাজের এলিট বনাম নন-এলিট সংঘাত শুরু হবে, যা থাইল্যান্ডে হয়েছে। সমাজে ঐক্যের পরিবর্তে বিভাজন বৃদ্ধি করবে।
‘সরাসরি নির্বাচন পদ্ধতি হলো গণতান্ত্রিক নীতির প্রাথমিক শর্ত’— নারী সংসদ সদস্য নির্বাচন অংশে এই সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। যদি তাই হয়, তাহলে কেন এই বৈপরীত্য?
দেশের রাজনৈতিক দল ও ব্যবস্থাকে যেমন অতিমাত্রায় শক্তিশালী করলে সমস্যা। ঠিক তেমনি রাজনৈতিক দল ও ব্যবস্থাকে দুর্বল করলেও তা দেশের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনতে বাধ্য।
এই কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন বলেই কি রাজনৈতিক দল ও ব্যবস্থাকে ঠুঁটো জগন্নাথ করতে হবে?
তাই, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে নাগরিকতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বাদ দেওয়া হোক। সংস্কার হোক আমাদের মন-মানসিকতায়। দেশের সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে আস্থায় নিয়ে পর্যায়ক্রমে সংস্কার হোক দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও সংস্কৃতিতে। রাজনৈতিক সংস্কার রাজনৈতিক দলকে আস্থায় নিয়ে তাদের সুপারিশ অনুযায়ী করতে হবে। অন্যথায় সেটি কাজে আসবে না।
রাতারাতি বাংলাদেশকে আমেরিকার মতো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বানানোর যে অলীক কল্পনা প্রস্তাবিত নাগরিকতন্ত্রে করা হচ্ছে তা ব্যর্থ হতে বাধ্য। কারণ জনগণ এই নাগরিকতন্ত্র চায় বলে মনে হয় না। তাদের চাওয়া প্রজাতন্ত্র (রিপাবলিক) যেখানে তারাই হবেন সার্বভৌম। তাদের ম্যান্ডেট ছাড়া কেউই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য হতে পারবেন না।