Published : 08 Jan 2024, 03:45 AM
সমঝোতায় রাজনৈতিক মিত্র আওয়ামী লীগ থেকে ২৬টি আসনে ছাড় পেলেও নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে পারেনি জাতীয় পার্টির ১৫ প্রার্থী। লাঙ্গলের এসব প্রার্থীকে হার মানতে হয়েছে ক্ষমতাসীনদেরই স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে।
এবারের নির্বাচনে দলের নেতাদের মনোনয়ন দিয়েও ২৫ আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগ। এর বাইরে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সেলিম ওসমানের জায়গায় শুরু থেকেই কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি ক্ষমতাসীন দল।
লাঙ্গলের এই ২৬ প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জনই বর্তমান সংসদ সদস্য; যাদের মধ্যে ছয়জন ভোটে হেরেছেন, বাকি সাতজন পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
হেরে যাওয়া লাঙ্গলের ১৫ প্রার্থী
১. ঢাকা-১৮: আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী শেরীফা কাদের। মাত্র ৬ হাজার ৪২৯টি ভোট পেয়ে তিনি তৃতীয় হয়েছেন। শেরীফা কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী এবং দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
ওই আসনে জিতেছেন স্বতন্ত্র হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা খসরু চৌধুরী। কেটলি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৮৫ ভোট।
স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে নামা আরেক আওয়ামী লীগ নেতা এস এম তোফাজ্জল হোসেন ট্রাক প্রতীকে ৪৪ হাজার ৯০৯ ভোট পেয়ে হয়েছেন দ্বিতীয়।
২. গাইবান্ধা-১: সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এ আসনে আওয়ামী লীগের ছাড় পেয়েও হার মানতে হয়েছে জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে।
তার বিপরীতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের ছাড়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা আফরোজা বারীর মেয়ে আব্দুল্লা নাহিদ নিগার।
ঢেঁকি প্রতীকে নাহিদ নিগার পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট। শামীম হায়দারের লাঙ্গল প্রতীকে পড়েছে ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট।
৩. গাইবান্ধা-২: জেলার সদর আসনে আওয়ামী লীগের ছাড় পেয়েও জিততে পারেননি জাতীয় পার্টির আব্দুর রশিদ সরকার। লাঙ্গল প্রতীকে ৬১ হাজার ৩৭ ভোট পেয়ে হেরেছেন তিনি।
তার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ সারোয়ার কবীর ৬৪ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
৪. ময়মনসিংহ-৫: মুক্তাগাছা উপজেলার এই আসনে জাতীয় পার্টির সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তিকে ছাড় দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের নেতা নজরুল ইসলামের কাছে হেরে গেছেন তিনি।
এ আসনে নজরুলের ট্রাক প্রতীকে ভোট পড়েছে ৫২ হাজার ৭৮৫টি। তার বিপরীতে লাঙ্গলের প্রার্থী পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১৬৮ ভোট।
৫. কুড়িগ্রাম-২: কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী ও রাজারহাট গঠিত এ আসনে আওয়ামী লীগের ছাড় পেয়েও হেরেছেন জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ।
তার বিপরীতে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ডা. হামিদুল হক খন্দকার। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ২ হাজার ১২০ ভোট। আর লাঙ্গলে ভোট পড়েছে ৪৬ হাজার ৯৪৫টি।
৬. চট্টগ্রাম-৮: বোয়ালখালী-চান্দগাঁও নিয়ে গঠিত আসনে জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠকে ছাড় দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিলেন নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ।
নৌকার প্রার্থী না থাকার মধ্যে স্বতন্ত্র হয়ে লড়া নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম জয়ের মুখ দেখেছেন।
ভোটের ফলে দেখা যায়, কেটলি প্রতীকে ৭৮ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ছালাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের নেতা বিজয় কুমার চৌধুরী ফুলকপি প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ হাজার ৫০০ ভোট।
লাঙ্গলের প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ ৮ হাজার ২৪৫ ভোট পেয়ে হয়েছেন তৃতীয়।
৭. ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: আওয়ামী লীগের ছাড় পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে নির্বাচন করেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূইয়া। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ৪০৮ ভোট।
এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মঈন উদ্দিন ৮৪ হাজার ৬৭ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। মঈনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট।
৮. রংপুর-১: আওয়ামী লীগের ছাড় পেয়েও রংপুর-১ আসনে জিততে পারেননি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত এইচএম এরশাদের ভাতিজা, সাবেক এই সংসদ সদস্য পেয়েছেন মাত্র ১০ হাজার ৮৯২ ভোট।
নৌকার প্রার্থী না থাকার মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান। কেটলি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৯২৭ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ ট্রাক প্রতীক ২৪ হাজার ৩৩২ ভোট পেয়েছেন।
৯. নীলফামারী-৪: নৌকার ছাড় পেয়েও নীলফামারী-৪ আসনে জিততে পারেননি জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান। ৪১ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে তিনি তৃতীয় হয়েছেন।
এ আসনে জিতেছেন জাপার মনোনয়ন না পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সিদ্দিকুল আলম। তার কাঁচি প্রতীকে ভোট পড়েছে ৬৯ হাজার ৯১৪ টি। ৪৫ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মোখছেনুল মোমেন।
১০. নীলফামারী-৩: নীলফামারী-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সরে গেলেও ক্ষমতাসীন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিরুদ্ধে জিততে পারেননি জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল।
এই আসনে কাঁচি প্রতীকে ৩৯ হাজার ৩২১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন সাদ্দাম হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মার্জিয়া সুলতানা পেয়েছেন ২৯ হাজার ২০৫ ভোট। আর লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পড়েছে ১০ হাজার ২২৮ ভোট।
১১. বগুড়া-৩: আদমদীঘি ও দুপচাঁচিয়ার এই আসনে আওয়ামী লীগের ছাড় পেয়েও এবার জিততে পারেননি জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম তালুকদার
তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগ নেতা খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ্ আল মেহেদি। ট্রাক প্রতীকে তিনি ৬৯ হাজার ৭৫০ ভোট পেয়েছেন। মেহেদির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী অজয় কুমার কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮১৫ ভোট।
১২. পিরোজপুর-৩: মঠবাড়িয়ার এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীকে বাদ দিয়ে মাশরেকুল ইসলাম আজম রবিকে প্রার্থী করে জাতীয় পার্টি। সমঝোতার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীও সরে দাঁড়ান। এরপরও ভোটে তেমন সুবিধা করতে পারেননি জাপার নতুন প্রার্থী।
এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জিতেছেন শামীম শাহনেওয়াজ। কলার ছড়ি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৩২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রুস্তম আলী ফরাজী ঈগল প্রতীকে ৪২ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়েছেন।
১৩. ময়মনসিংহ-৮: ঈশ্বরগঞ্জ আসনে আওয়ামী লীগের ছাড় পেয়েও এবার জিততে পারেননি জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ থেকে দুবার উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়া মাহমুদ হাসান সুমন ৫৬ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। লাঙ্গল প্রতীকের ফখরুল ইমাম পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯৮৪ ভোট।
১৪. মানিকগঞ্জ-১: আওয়ামী লীগে প্রার্থী না থাকার মধ্যে ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয়ের এ আসনে জিততে পারেননি জাতীয় পার্টির জহিরুল আলম রুবেল।
ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ ৮৪ হাজার ৮৯৪ পেয়ে জিতে গেছেন। লাঙ্গলে পড়েছে ৩৮ হাজার ১০৯ ভোট।
১৫. হবিগঞ্জ-১: আওয়ামী লীগের ছাড় দেওয়া বাহুবল-নবীগঞ্জের এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিততে পারেননি জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী। লাঙ্গল প্রতীকে ৩০ হাজার ৬০৩ ভোট পেয়েছেন তিনি।
এই আসনে জিতেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। ঈগল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৫২ ভোট।
লাঙ্গলের জয়ী ১১ মুখ
আওয়ামী লীগের ছাড় পাওয়া ২৬ আসনের মধ্যে ১১টিতে জিততে পেরেছে একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। ২৬৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আওয়ামী লীগের ছাড়ের বাইরে কোনো আসনে জিততে পারেনি লাঙ্গল প্রতীকের কোনো প্রার্থী।
১. রংপুর-৩: রংপুর সদর আসনে জয় পেয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য জি এম কাদের। আওয়ামী লীগের প্রার্থিতাহীন ওই আসনে লাঙ্গল প্রতীকে তিনি ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট পেয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের আনোয়ারা ইসলাম রানী ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট পেয়েছেন।
২. কিশোরগঞ্জ-৩: আওয়ামী লীগের ছাড় পাওয়া এই আসনে ৫৭ হাজার ৬৫৪ ভোট পেয়ে জিতেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাসিমুল হক পেয়েছেন ৪২ হাজার ১৫০ ভোট।
৩. পটুয়াখালী-১: পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকির এই আসনে জিতেছেন জাতীয় পার্টির এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৮১ হাজার ৫০৮ ভোট।
আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দীন তালুকদার ডাব প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৭৪ ভোট।
৪. চট্টগ্রাম-৫: হাটহাজারীতে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আসন পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের ছাড় দেওয়া এই আসনে তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৯৭৭ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহজাহান চৌধুরী কেটলি প্রতীকে ৩৬ হাজার ২৫১ ভোট পেয়েছেন।
৫. ফেনী-৩: সোনাগাজী ও দাগনভূঞায় আওয়ামী লীগের ছাড় দেওয়া আসনে জিতেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, বর্তমান সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি এক লাখ ৪৭ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা রহিম উল্যাহ পেয়েছেন ৯ হাজার ৬২৬ ভোট।
৬. সাতক্ষীরা-২: লাঙ্গল প্রতীকে ৮৮ হাজার ৩৫৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান। তার বিপরীতে ঈগল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মীর মোশতাক আহমেদ রবি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৪৭ ভোট।
৭. বরিশাল-৩: মুলাদী এবং বাবুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু। তার লাঙল প্রতীকে পড়েছে ৫১ হাজার ৮১০ ভোট।
বর্তমান এই সংসদ সদস্যের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান পেয়েছেন ২৪ হাজার ১২৩ ভোট।
৮. ঠাকুরগাঁও-৩: পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে জিতেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। লাঙ্গল প্রতীকে বর্তমান এই সংসদ সদস্য পেয়েছেন এক লাখ আট হাজার ৫১৯ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির গোপাল চন্দ্র রায় হাতুড়ি প্রতীকে ৬৫ হাজার ২০৪ ভোট পেয়েছেন।
৯. কুড়িগ্রাম-১: নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। তার মোট ভোট ৮৮ হাজার ২৩ ভোট।
তার নিকটতম প্রার্থী জাকের পার্টির আব্দুল হাই গোলাপ ফুল মার্কা পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৭৫৬ ভোট।
১০. বগুড়া-২: শিবগঞ্জের এই আসনে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৫২ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিউটি বেগম ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ২০৩ ভোট
১১. নারায়ণগঞ্জ-৫: সদর ও বন্দরের এই আসনে শুরু থেকেই প্রার্থী রাখেনি আওয়ামী লীগ। সেখানে লাঙ্গল প্রতীকে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী এ এম এম একরামুল হক পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ৭৩৩ ভোট।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ২২টি আসনে জয় পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: