Published : 25 May 2025, 08:45 PM
প্রশাসনের যন্ত্র পুরোপুরি কার্যকর না থাকায় সহসাই জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখছেন না আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু।
রাজনৈতিক রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রথম দফার আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
রোববার দুই ভাগে ২০ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
বিকালে প্রথম বৈঠকে ১০টি দলের একজন করে প্রতিনিধি অংশ নেন, সেখানে মঞ্জুও অংশ নেন।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “নির্বাচন এত সহসা ঘোষণা দেওয়া সম্ভব না। কারণ হচ্ছে প্রশাসনসহ বিভিন্ন যে যন্ত্রগুলো আছে সেগুলো এখনো পরিপূর্ণভাবে কার্যকর নয়।
“এবি পার্টির পক্ষ থেকে প্রস্তাব করেছি, নির্বাচনটাকে একটা কমফোরটেবল জায়গায় নিতে হবে আর যথাসম্ভব নির্বাচন নিয়ে একটা রোডম্যাপ দেওয়ার জন্য। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি নির্বাচন করা যায় তাহলে এটা সুন্দর সময় হবে।”
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটা জিনিস জানতে চেয়েছিলাম আপনি পদত্যাগ করবেন কি করবেন না? কেন এই কথা উঠেছে? তার সঙ্গে কথা বলে আমরা বুঝতে পেরেছি, নির্বাচন দেওয়ার জন্য যেসকল প্রস্তুতি অথবা যা প্রয়োজন তা এখনো হয়নি বলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের কারণে উনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। অন্যান্য উপদেষ্টাসহ অন্যরা তাকে বুঝিয়ে এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরিয়ে এনেছেন।
“আমরা বলেছি, জুলাই আন্দোলনের সময় জেন-জি, মাদ্রাসা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে ঐক্য ছিল, তা আপনারা ধরে রাখতে পারেননি। আমরা আরও বলেছি, প্রয়োজনে যদি মনে করেন উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন করতে হবে, তাহলে সেটা আপনি করতে পারেন।”
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সকল দলগুলোর মধ্যে যে গ্যাপ সেটাকে দূর করার জন্য আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। আমরা রোডম্যাপ নিয়ে উনাকে বলেছি উনি একটা কম্ফোর্টেবল পজিশনে গেলে রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন। তবে উনি কিছুটা হতাশ ছিলেন। আমরা সিনিয়র সকল রাজনীতিবিদরা উনাকে বুঝিয়েছি আপনি হতাশ হবেন না।”
প্রথম ধাপের বৈঠকে মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু ছাড়াও অংশ নেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অলি আহমেদ, নাগরিক ঐক্য’র সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া (মঞ্জু), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি'র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বিভিন্ন দলের ৯ নেতার সঙ্গে বসেন সরকারপ্রধান।
সন্ধ্যার বৈঠকে অংশ নেন ইসলামি বক্তা সাদিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইযহার এবং ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব সাখাওয়াত হোসাইন রাজী।