Published : 11 Oct 2023, 10:34 PM
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তারে লক্ষ্মীপুর থানায় তিনটি পরোয়ানা ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেছেন, “জেলা পুলিশের রিকোয়েস্টের ভিত্তিতে ধানমন্ডি মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।”
বুধবার রাত তিনটার দিকে বিএনপি নেতাকে ঢাকার ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হারুন।
তিনি বলেন, “এ্যানির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হলেও তিনি আদালতে হাজির হননি, জামিন নেননি। কোনো মামলায়ই হাজির হননি। ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।”
এসব ওয়ারেন্টের কথা এ্যানিকে থানা পুলিশ বারবার জানিয়েছিল বলেও জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
‘আইন সবার জন্য সমান’ জানিয়ে হারুন বলেন, “তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিই হোন কিংবা অন্য যে কোনো ব্যক্তি হোন, কারও বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ও সুস্পষ্ট মামলা থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
“আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজই অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা; তিনি যে পর্যায়ের নেতাই হোক, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না, হবেও না।”
লক্ষ্মীপুরের পাশাপাশি ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় পুলিশকে আঘাতের মামলাতেও বিএনপি নেতা আসামি বলে জানিয়েছেন হারুন অর রশীদ।
ধানমন্ডি থানার ওসি পারভেজ ইসলামও বলেন, “এ্যানির বিরুদ্ধে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।”
লক্ষ্মীপুর থানার ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তারের পর এ্যানিকে ঢাকা মহানগর হাকিম রশিদুল আলমের আদালতে তোলা হয় গত ২৩ মে ঢাকা সিটি কলেজের সামনে গাড়ি ভাঙচুরের মামলায়।
সে মামলায় বিএনপি নেতাকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য চার দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।